জনগণ নির্বাচনী নাটক রুখে দিবে: সেলিমা রহমান

জনগণ নির্বাচনী নাটক রুখে দিবে: সেলিমা রহমান

জনগণ সরকারের নির্বাচনী নাটক রুখে দিবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

‘চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে’ এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেলিমা রহমান বলেন, আজকে সারাদেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছেন। জনগণ তাদের শক্তি দিয়ে আপনাদেরকে রুখে দিবেন। একজনের (শাহাজাহান ওমর) ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচন নির্বাচন নাটক রুখে দিতে হবে। আসুন আমরা এই সরকারকে না বলে তাদের নাটকের ইতি ঘটাই।

সেলিমা রহমান বলেন, আমরা কোন দেশে বাস করছি? আজকে গুম খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারেনা। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এতো ভীতু যে তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেয়না।

তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন পীড়ন ও গ্রেপ্তার করছে। তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে।

শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন এটাই শেষ দিন নয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার দেশের মানুষের ভাত ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ২২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে সারাদেশে গ্রেপ্তার করেছে। সাড়ে ৮ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এমনকি মৃত ব্যাক্তিকেও সাজা দিয়েছে! কী ভয়ংকর পরিস্থিতি? আজকে একই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকেই কারাগারে আর একই মামলায় শাহজাহান ওমরের জামিন মিলে! কী প্রহসন। এটা তো প্রমাণিত যে, বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য এসব করা হয়েছে। তবে এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে জুলুম ও জাহেলিয়াতের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। আজকে মায়েরা রাজপথে নেমে তাদের সন্তান বা স্বামীকে ফিরে পেতে কান্না করছে। এই মায়েদের কান্নার আওয়াজ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজকে এই সরকার যে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমররে মুক্তি ও নৌকা প্রতীক দিয়ে প্রমাণ করেছে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম, উপদেষ্টা ডা. রফিকুল কবির লাবু, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব’র সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আমীরুল ইসলাম কাগজী, ডা. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মো. শহীদ হাসান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, জাহিদুল করিম কচি, নার্সেস এসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, ডিইউজের রাশেদুল হক ও সাঈদ খান, ডা. এমএ কামাল, প্রকৌশলী মো. হানিফ, ডা. জাহানারা লাইজু, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।