নির্বাচনের সিট ভাগাভাগি সম্পন্ন এখন কেবল ঘোষণা বাকি: সাকি

নির্বাচনের সিট ভাগাভাগি সম্পন্ন এখন কেবল ঘোষণা বাকি: সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের অগ্রিম সিট ভাগাভাগি সম্পন্ন এখন কেবল ঘোষণা করা বাকি। কাজেই বিজয়ের দিনের গণমানুষের অঙ্গীকার হলো, বাংলাদেশ আর একদিনও চরম দুঃশাসন এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদের অধীনে থাকবে না।

শনিবার মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ভাঙিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দেশকে টেনে নিয়ে গেছে। আর এর প্রতিবাদকারী সকল বিরোধীপক্ষের ওপর চরম নির্যাতন-নিপীড়ন করে, লক্ষ মানুষকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে এবং তড়িঘড়ি হাস্যকর বিচার করে অনেককে দণ্ড দেয়া হচ্ছে। সরকার এগুলোর মধ্য দিয়েই প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। জনগণ মনে করে ৭ তারিখে নির্বাচনের অগ্রিম সিট ভাগাভাগি সম্পন্ন এখন কেবল ঘোষণা করা বাকি। কাজেই বিজয়ের দিনের গণমানুষের অঙ্গীকার হলো, বাংলাদেশ আর একদিনও চরম দুঃশাসন এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদের অধীনে থাকবে না।

তিনি বলেন, নিপীড়ক ও বৈষম্যের পাকিস্তান রাষ্ট্রকে পরাজিত করে এই দেশের আপামর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। বিজয়ের আজ ৫৩ বছরে এসেও মুক্তিযুদ্ধের যে অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার তা এমনভাবে ভূলুণ্ঠিত-মানুষকে ন্যূনতম ভোটাধিকারের রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কেনো না গত ১৫ বছরে এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে সরকার কবরে পাঠিয়েছে। ২০১৪ সালে প্রতারণার একতরফা নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে গভীর রাতের ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে দেশকে এমন জায়গায় ঠেলে দিয়েছে যে, রাষ্ট্র আজকে ধসে পড়ে যাবে।

এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নামে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও সার্বজনীন ভোটাধিকারকেই ধ্বংস করছে।

সাকি বলেন, দেশে আজকে প্রায় সমস্ত বিরোধীদল সরকারের একতরফা তফসিলকে বয়কট করেছে, অধিকাংশ দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। অথচ তারা (সরকার) জোর করে ৭ তারিখ নির্বাচন করার জন্য আটঘাট বেঁধে নেমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের এই পাতানো নির্বাচন মানবে না।

এসময়ে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, সদস্য আলিফ দেওয়ানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ এবং সাভার আশুলিয়া, কেরানিগঞ্জ উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।