৭ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে চলেছে: ১২ দল

৭ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে চলেছে: ১২ দল

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরীক ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন চূড়ান্ত হতে চলেছে। আর নির্বাচনের এই তামাশার আসরে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। দেশের বড়-ছোট প্রায় ৬৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাই জনগণ মনে করে, আগামী ৭ জানুয়ারি সারা দেশের ভোট কেন্দ্রগুলোতে কুত্তা তাড়ানোর পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

শনিবার দুপুরে ফকিরাপুল মোড়, নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় 'শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার দাবি’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আন্দোলনের মুখে হারিয়ে যাবে। এবার দাদাবাবু-কাকাবাবুদের নীল নকশা কাজে আসবে না। জনগণের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যে কোনো সময় সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে।

তিনি দেশবাসীকে ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে জনগণ না খেয়ে মারা যাবে এবং দেশে দুর্ভিক্ষ হবে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভয়ংকর খেলা শুরু করেছে। জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুব দ্রুত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে। আওয়ামী লীগ আগুন নিয়ে যখন খেলতে চায় তখন জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে তার কঠিন জবাব দেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাহেবরা বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে 'ঘোড়া ও ব্যাঙ' ইঙ্গিতে যে মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, মনে হচ্ছে ভোট বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ভোটের আগেই এখন প্রাণী বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছে। কারণ ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে জনগণ নয়! আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী, ঘোড়া, গাঁধা, কুকুর ও ব্যাঙরাই ভোট কেন্দ্রে যাবে।

গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রনক, ইসলামি ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা অধ্যক্ষ আবদুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটু, এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, ফরিদ আমিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামি ঐক্য জোটের ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু ইউসুফ, লায়ন ওমর রাজি, শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।