ভোট বর্জন করে বিক্ষোভ

ভোট বর্জন করে বিক্ষোভ

একতরফা ভোট বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। প্রথমে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। মিছিলটি পুরানা পল্টন ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় তারা একতরফা ভোট বর্জনের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের ‘ডামি’ নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। দেশের মানুষ এই জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তাই জনগণের নীরব ‘ভোট প্রত্যাখ্যান’ জাতির বিজয় এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।

আজ দুপুরে প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় নির্বাচন বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আজকের কলঙ্কজনক দিন থেকে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই ভোটে দেশের মানচিত্র জাহান্নামে যাক, অর্থনীতি জাহান্নামে যাক, গণতন্ত্র জাহান্নামে যাক এই সরকারের কিছু আসে যায় না। তবে আজকে থেকে দেশে অর্থনৈতিক ভয়াবহ সংকট শুরু হবে। এই প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন, ভোটের হার খুবই নগণ্য কিন্তু সন্ধ্যার সময় গণভবন থেকে ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হবে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তাই পাঠ করে শুনাবে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনা ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছে। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি। কারণ এই সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট চুরির পুরানো অভ্যাস বদলাতে পারেনি। এশার আযান দিয়ে তারা ভোট চুরি শুরু করেছে এবং তাহাজ্জুদ নামাজের আগেই ভোট ডাকাতি শেষ করেছে। তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোট বর্জনের উচিত জবাব আওয়ামী লীগের মুখের উপর বসিয়ে দিয়েছে। হরতাল ও গণ-কারফিউ জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পালন করেছে। তাদের মনে রাখা উচিত বাংলার মজলুম মানুষেরা 'পরাজয়' মানে না। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।