ভোট বর্জন করায় জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

ভোট বর্জন করায় জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

৭ জানুয়ারি জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট বর্জন করার নিদারুণ প্রতিশোধ নিতে ফ্যাসিবাদ সরকার এখন জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির নামে লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাশনের দাবিতে কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এসব কথা বলেন। মিছিলটি বিজয়নগর থেকে প্রেসক্লাব গিয়ে শেষ হয়।

তারা বলেন, এ সরকার অবৈধভাবে নির্বাচন করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলার মানুষকে ভাতে ও লাঠিতে মারার ষড়যন্ত্র করছে। ইতিহাসের বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগ দিল্লির দাসত্ব কায়েম করার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্য বানাতে চায়। তবে জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করেছে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশের জন্য বিষ-ফোঁড়ায় পরিনত হয়েছে। একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ভয়াবহ হা হা কার চলছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ১২ দলীয় জোট এই ফ্যাসিবাদ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ভারত বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে নতুন বছরে শুভেচ্ছা পুরষ্কার হিসেবে বাংলার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির লাশ পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের আফসোস হয় এই ফ্যাসিস্ট সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির নামে দেশের জনগণকে পেটে ও আঘাতে মারতে চায়। ঘরে ঘরে ক্ষুধার আর্তনাদ বাতাসে ভেসে আসছে। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে শেখ হাসিনার পতন এখন অনিবার্য।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম,জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু,বাংলাদেশ জাতীয় দল ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ,বাংলাদেশ লেবার পার্টি লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, মনসুর হোসেন, জাগপার আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি মো. শরিফুল ইসলাম, অ্যাভোকেট জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, মো. ইমরান, ইসলামী ঐক্যজোট বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, মোহাম্মদ ইলিয়াস রেজা প্রমুখ।