রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ

বাংলাদেশ আজ চরম অন্ধকারে নিপতিত: রিজভী

বাংলাদেশ আজ চরম অন্ধকারে নিপতিত: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি একতরফা ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজ চরম অন্ধকারে নিপতিত। আর্থিক ও সামাজিক খাতে এক ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে। আর গতকাল নাকি বাংলাদেশের তিনটি ছাগল ভেতরে গেছে বিএসএফ ধরে সেগুলো ফেরত দিয়েছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি তামাশা করা।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রিজভীর নেতৃত্বে গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন দাবি করা হয় লিফলেটে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ওদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে এবং বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মুহুর্মুহু গুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষকরা সীমান্তে কাজ করতে পারছে না। তারা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।

আমার বাংলাদেশ সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। তারা নীরব। একটা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এভাবে চলতে পারে না।
নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি চলছে? ছাত্রলীগ সেখানে শৌন আনন্দের উৎসবে পরিণত করেছে। কুষ্টিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সরকার জনগণের টাকা লুটের পর তা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরা নিজেরা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

রিজভী আরো বলেন, আজকে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার নিজেদেরকে জমিদার ভেবেছে। সেজন্যই তারা দেশে জমিদারতন্ত্র কায়েম করেছে। কিন্তু এই জমিরদারতন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। জনগণের কাছে আপনাদেরকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে। বিএনপি সহ সমমনা দলগুলোর আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। এই আন্দোলন জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার আন্দোলন। এটা চলছে এবং অব্যাহত থাকবে।

লিফলেট বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, কাজী রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম মাসুম শান্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপি নেতা মো, আশফাকুল ইসলাম সরকার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, রেহেনা আক্তার শিরিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সাদেক মিয়া, জাকারিয়া হোসেন ইমন, ঢাবির যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, সাইদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিক, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, কাজী মনজুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. সুলতান মাহমুদ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের তোহা আমিন-সহ নেতৃবৃন্দ।