ওবায়দুল কাদের কি বিএনপির বিকল্প স্থায়ী কমিটির সদস্য, প্রশ্ন রিজভীর

ওবায়দুল কাদের কি বিএনপির বিকল্প স্থায়ী কমিটির সদস্য, প্রশ্ন রিজভীর

বিএনপির উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কথাবার্তা উনি (ওবায়দুল কাদের) যেভাবে বলেন, তাতে মনে হচ্ছে উনি বিএনপির বিকল্প জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) কি বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে যাবে। তাতে মনে হচ্ছে, উনি শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নন, উনি বিএনপির বিকল্প জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। কারণ মনে হচ্ছে, বিএনপির অনেক গোপন কথা উনি জেনে যাচ্ছেন। এগুলো আসলে জনগণের সঙ্গে তামাশা ও প্রতারণা করা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের কাছে বিএনপি নালিশ করেছে- ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) কি করেছেন? শুধু দেশে না বিদেশে গিয়ে, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে খুব জোরালো কণ্ঠে সেখানে তারা কথা বলেছেন। আর কিসের নালিশ। উনি (ওবায়দুল কাদের) কি শুনেছেন, কি কথাবার্তা হয়েছে? উনি কি জানেন? আমরা তো জানি না।

রিজভী আরও বলেন, বিদেশি কোন রাষ্ট্র এবং বিদেশি কোন কর্মকর্তা আসলে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশের কর্মকর্তারা আসলে সরকারি দল এবং বিরোধী দলসহ সবার সঙ্গেই বসেন। এটা তো রেওয়াজ, এটা তো দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

সে কারণে আমাদের নেতৃবৃন্দ দেখা করতে গিয়েছেন। কিন্তু কি আলোচনা হয়েছে, কি কথা হয়েছে- আমরা তো কেউ জানি না। আমাদের নেতৃবৃন্দ যারা গেছেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী- তারা তো কিছু বলেননি। তাহলে উনি জানলেন কী করে? তাহলে উনি কি কোনো গোপন ডিভাইস কোথাও রেখেছিলেন?

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের একসময় ছাত্র নেতা ছিলেন। কিন্তু ‘ডামি সরকারের’ ডামি মন্ত্রী হয়ে উনি সত্য কথা বলতে ভুলে গেছেন। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, সেটা তারা ভুলে গেছেন। এক ধরণের দস্যুবৃত্তির মানসিকতা নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করে আছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ডহ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খেসারত তারা (আওয়ামী লীগ) দিয়েছেন। আমরা দেই নাই। যে বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলছেন, তার পরিণতি আওয়ামী লীগকে ভোগ করতে হবে। আর ওবায়দুল কাদেররা যে মিথ্যাচার করছেন, তারও পরিণতি ভোগ করতে হবে।