গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে: মঈন খান

গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মুল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করব, এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং কথা বলার অধিকারের জন্য মানুষকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সকল দায়-দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথা বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

ড. মঈন বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র।

দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা থাকে না।

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা খায়রুল বাশার, একেএম মহসিন, বাছির জামাল, এহতেশামুল হক শাওন, রফিক মুহাম্মদ, রাশেদুল হক, শহীদুল ইসলাম, দিদারুল আলম, শাহনাজ পলি, খন্দকারর আলমগীর হোসেন, সাঈদ খান প্রমুখ।