সরকারের গণবিরোধী নীতিতে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে: সিপিবি

সরকারের গণবিরোধী নীতিতে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে: সিপিবি

সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতারা বলছেন, দেশের সাধারণ মানুষের আয় না বাড়লেও মূল্যবৃদ্ধির কশাঘাতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এর মধ্যে বছরে তিনবার করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও দুঃসহ করে তুলবে।

সিপিবির প্রেসিডিয়ামের সভায় দলটির নেতারা এসব কথা বলেছেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রেসিডিয়ামের সভা শুক্রবার শেষ হয়েছে।

সভায় সিপিবির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ও খেলাপি ঋণ আদায় এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না করে এদের দায়মুক্তি দিতে ব্যাংক একত্রীকরণ, বন্ড বিক্রিসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারা আরও বলেন, আইএমএফের শর্ত মেনে বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন সেবা খাতের ভর্তুকি প্রত্যাহারসহ ব্যাংকের সুদের হার ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডলারের দাম একলাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা উৎপাদনশীল খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং দেশবাসীকে আরও ঋণের জালে আবদ্ধ করে ফেলবে। সরকারের এসব গণবিরোধী নীতির কারণে দেশে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে।

সিপিবির সভায় আরও বলা হয়, সরকার ‘আমি ও ডামি’র জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে একই ধরনের আরেকটি উপজেলা নির্বাচন করে চলেছে। সম্প্রতি আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে সরকারের এই একতরফা নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ নেই। মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, এ এন রাশেদা, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, মোতালেব মোল্লা ও পরেশ কর।