
বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘ভাড়া করা বিদেশি সরকার এসে পোর্ট (বন্দর) নির্ধারণ করবে, করিডর নির্ধারণ করবে, আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, যেভাবে চাইবে তাদের প্রভুদের খুশি করবে, সেই রাজনীতি তো ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেছে। এখন স্লোগান একটাই, “সবার আগে বাংলাদেশ”।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘পোর্ট ও করিডর আমরা (বিদেশি কারও) হতে দেব না। কাকে প্রতিহত করবে, কাকে দিয়ে করবে, সেটা সরকারের ব্যাপার। বাংলাদেশের মালিক জনগণ। আমরা এই দেশে থাকব। বিদেশে গিয়ে সেটেল হব না। আমার অন্য দেশের পাসপোর্ট নেই। কিন্তু বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের কতজন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে অবস্থান করেছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
আজ শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘সর্বশেষ আমি ধানের শীষ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম, এটাই হলো তাদের (বিএনপিবিরোধীদের) ক্ষোভ। এর সঙ্গে আরও অনেক কিছুর যোগসূত্র রয়েছে। ৫ আগস্টের পর বিএনপি মহাসমাবেশ করে জানিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। আমরা অতীতে এটা হতে দেখেছি।’
ইশরাক বলেন, ‘আমরা অপ্রিয় কিছু কথা বলতে চাই। সেটা হয়তো জনগণ এখনো দেখছে না। স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে ভিন্ন কোনো পথে দীর্ঘ মেয়াদে নিয়ে যাওয়া যায় কি না, সেই একটা চেষ্টা রয়েছে। এ জন্য কোনো একক ব্যক্তির ওপর আঙুল তুলব না। একটা গোষ্ঠী এই বিষয়ে কাজ করছে।’
বিএনপির নেতা ইশরাক বলেন, ‘স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা ১৭ বছর খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে, আমাদের পরিচয় গোপন না করে রাজপথে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের অনেক ভাই এতে শাহাদাতবরণ করেছে। আমরা সেই দল করি; আমরা অত্যন্ত সুসংগঠিত রয়েছি।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা ৬ ঘণ্টার নোটিশে, ১২ ঘণ্টার নোটিশে বা ২৪ ঘণ্টার নোটিশে দলের হাইকমান্ড আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেটা পালন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’