যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোমেটের প্রতিবেদন

গণতন্ত্রের অধপতনে রুখে দাঁড়িয়েছে বিদেশে নির্বাসিত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা

গণতন্ত্রের অধপতনে রুখে দাঁড়িয়েছে বিদেশে নির্বাসিত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কানাডায় বাংলাদেশের দূতাবাস একটি বিবৃতি। বিবৃতিটা কানাডা প্রবাসী সব বাংলাদেশিদের হতবাক করে দেয়। এতে বলা হয়, শান্তিপ্রিয় যেসব কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত বাংলাদেশীরা রয়েছেন তারা কানাডা থেকে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। এরপাশাপাশি সতর্ক করে বলা হয়, যেসকল ব্যক্তি এবং মিডিয়া এধরনের কার্যক্রমে জড়িত থাকবে তাদেরকে দূতাবাস থেকে কোনো ধরনের সেবা প্রদান করা হবেনা।

সরকারের এই ঘোষণার একটি বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি প্রবাসি বাংলাদেশীদের মধ্যে। যারা আগে দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্য আহবান জানাতো তারাই দেশে নিজেদের স্বজনদের নির্যাতনের মুখোমুখি হবার কথা চিন্তা করে তাদের অনেকে নিরব হয়ে যায়।

কানাডিয়ান দূতাবাসের বিবৃতির পর গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পক্ষে কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এক প্রবাসি বাংলাদেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ প্রবাসি তার সিদ্ধান্ত বদল প্রসঙ্গে বলেন, “বাবা, মা যেহেতু বাংলাদেশে থাকেন, সেহেতু সেখানে আমাকে ফিরে যেতে হবে। ফেসবুকে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে আমি গ্রেফতার হতে চাইনা। এমনকি পরিবারকে এজন্য বিপদে ফেলতে চাইনা।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলেও গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ এবং মানবাধিকার আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সূচকে দেশের ভাবমূর্তি মলিন হয়ে গেছে। দেশটি কতৃর্ত্ববাদি শাসনের দিকে ঝুঁকছে। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩ তম। অথচ আফগানিস্তানের সূচকে অবস্থান ১৫২। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১৬২, আর আফগানিস্তান ছিলো ১৫৪ এবং রাশিয়া ১৫৫।

শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন শাসন ব্যবস্থায় বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড, গুম, সমালোচক এবং বিরোধীদের জেলে বন্দি করার ক্ষয়িষ্ণু চিত্রের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। নীতি নির্ধারণ এবং কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্যের অবাধ প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ। সেটাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামের কালাকানুন তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে সাইবার নিরাপত্তার জন্য এই আইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন। এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ৫ কোটি নাগরিকের তথ্য ফাঁস বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে।

সরকারের হাতে নির্যাতিত হবার তালিকাটা বেশ লম্বা। আর তার শিকার হয়েছেন নানা শ্রেণীর মানুষ। যেমন, ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পার্সন অফ দ্য ইয়ার সম্মানে ভূষিত শহীদুল আলম, ব্যবসায়ী, কার্টুনিস্ট, বিরোধী দলের এমপি ইলিয়াস আলী এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রয়েছে এ তালিকায়। গত এক দশকে সরকারের নির্যাতন এবং নিপীড়ন থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে বিদেশে নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়েছে লেখক, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।

নিজ দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকরা মত প্রকাশ এবং কথা বলার স্বাধীনতা পাচ্ছেন। এই সুবাধে প্রবাসে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সংবাদ মাধ্যম, ইউটিউব চ্যানেল ভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং অভিমত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর এটা বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যার উদাহরণ হল কানাডায় বাংলাদেশি দূতাবাসের দেয়া বিবৃতি।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ফিরে যাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ব্যবহার করে এবং সুবিধাভোগী কিছু গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছায় সে ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে সরকার। এসব কিছু করেও বিদেশে নির্বাসিত এক দল সাংবাদিকের মুখ বন্ধ করতে পারেনি সরকার। তারা সরকারের দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট প্রকাশে সহায়তা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আল জাজিরা’র প্রকাশিত ডকুমেন্টারি “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান” এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত র‍্যাবকে নিয়ে ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি।

বাংলাদেশ সরকার ব্লক করে দেবার পরও সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজ সরকারের অনিয়ম নিয়ে অনেক রিপোর্ট করেছে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গোপন বন্দিশালা নিয়ে “আয়না ঘর” শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশে করেছে সংবাদমাধ্যমটি। সুইডেনে থেকে সাংবাদিকতা করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল ডিপ্লোমেটকে বলেন, “বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অনুকূল পরিবেশ নেই। অন্যদিকে সুইডেনের গণমাধ্যম আইন এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি আমাদের ব্যাপক পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।”

প্রবাসে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার পরিধি বিস্তৃত হবার অন্যতম একটি কারণ হলো যেখানে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতে বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা রিপাের্ট করেনা সেখানে প্রবাসি সাংবাদিকরা ঐ ইস্যুতে সোচ্চার হয়। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গবেষণা করে যেটা দেখতে পেলাম সেটা হলো- অনেক সাংবাদিকই নিজেকে নিরাপদে রাখতে সেল্ফ সেন্সরশিপ আরোপ করে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক নির্বাসিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী যিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন, সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর নির্বাহী সম্পাদক এবং একটি বাংলা নিউজ সাইট জাস্টনিউজবিডি-এর সম্পাদক, তিনি বাংলাদেশী প্রবাসী সাংবাদিকতার একটি ধারার পথপ্রদর্শক। নিয়মিত নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যখন প্রায়শই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং র্যাব ও এর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি সামনে এনে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় মুখর হন, তখন মুশফিকুল ধারাবাহিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের মুখপাত্রদের কাছে বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং নির্বাচন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেন, যিনি এক সময় ২০০১-২০০৬ সাল মেয়াদে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আনসারী দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেছেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন যে তার সাংবাদিকতার ধরণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে সহায়ক। কারণ আগে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে বাংলাদেশের চলমান ঘটনা সম্পর্কে তেমন সচেতনতা ছিল না।

মুশফিকুল বিশ্বাস করেন যে, তিনি মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তার উত্থাপনের বিষয়গুলি নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন, বিবিসিসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী মিডিয়া আউটলেটের সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যারা ওয়াশিংটন এবং নিউইয়র্কে এই সকল ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে থাকেন। তিনি বলেছেন, এটি বাংলাদেশের জটিল দৈনন্দিন রাজনীতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ধারণা গ্রহণের ক্ষেত্রেও কাজ করে।

অতীতে বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে প্রচারিত টকশোগুলো সম্পাদকীয় নীতি এবং রাজনৈতিক মতামতে একটা ভূমিকা রাখতো। কিন্তু টিভিগুলো ধারাবাহিকভাবে তাদের সেই দর্শক হারিয়েছে। দর্শকদের দৃষ্টি এখন ইউটিউবে চ্যানেলে প্রচারিত বিদেশে নির্বাসিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুষ্ঠানগুলোতে। কারণ তারা নিয়মিত শেখ হাসিনা এবং তার সরকার, দলীয় পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং আইনশৃঙ্খলবাহিনীর সদস্যদের সমালোচনা করে কথা বলে।

প্যারিসে অবস্থান করা পিনাকী ভট্টাচার্য, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা নায়েব আলী, ইলিয়াস হোসেন, কনক সারোয়ার এবং শাহেদ আলম পরিচালিত ইউটিউব ভিত্তিক চ্যানেলগুলো লাখ লাখ মানুষ ভিজিট করে। ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ২.২ মিলিয়ন, পিনাকী ভট্টাচার্য ১.০৮ মিলিয়ন, শাহেদ আলম ০.৭ মিলিয়ন, কনক সারোয়ার ০.৫ মিলিয়ন এবং নায়েব আলী ০.৮ মিলিয়ন।

এপ্রসঙ্গে প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আফসান চৌধুরী বলেন, “ইলিয়াস, কনক সারোয়ার এবং পিনাকী ভট্টাচার্য সবার কাছেই পরিচিত। বাংলাদেশের অনেক মিডিয়া ব্যক্তিদের চেয়েও তাদের জনপ্রিয়তা বেশী। তাদেরকে লাখ লাখ মানুষ, কখনো কোটি কোটি মানুষ তাদের চ্যানেলগুলোতে অনুসরণ করে।”
মিডিয়ায় এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে নিউয়র্কভিত্তিক বার্ড কলেজের ভিজিটিং প্রফেসর দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, “প্রধান সারির টেলিভিশনগুলোর টকশোতে অতিরিক্ত দলবাজির কারণে দর্শকের ইউটিউবভিত্তিক চ্যানেলগুলোর আলোচনা এবং বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠানের দিকে মনযোগী হয়েছে।”

প্রবাসের এই কন্ঠগুলো থামিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রবাসী সাংবাদিক এবং ইউটিউব চ্যানেলের বিশ্লেষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে। সরকার দলীয় সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং সরকারের মদদপুষ্ট গণমাধ্যমগুলো প্রবাসী সাংবাদিক এবং ইউটিউব চ্যানেলের বিশ্লেষকদের ‘দেশদ্রোহী,’ ‘বিশ্বাসঘাতক,’ ‘সন্ত্রাসী,’ এবং ‘স্বাধীনতা বিরোধী’ শক্তি বলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে।

প্রবাসে আশ্রয় নেওয়া সরকার সমালোচকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্য কিছু সদস্যদের বাংলাদেশে ভীতি প্রদর্শন এবং হামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি জেলেও বন্দি করা হয়েছে। কনক সারোয়ারে বোনকে জেলে যেতে হয়েছে। আল জাজিরার অনুসন্ধানি ইউনিটের সঙ্গে “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান” ডকুমেন্টারি তৈরির কাজে সহায়তা করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খানের। এ ডকুমেন্টারিতে সরকার দলীয় লোক এবং কর্মকর্তার দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। তার ভাইকে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়েছে। তাসনিম খলিলের মাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ক্যানবেরায় অবস্থান করা প্রবাসী লেখক ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা বই “বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে” ঢাকায় একুশে বইমেলা এবং কলকাতার বইমেলায় নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালনা করা আমার দেশ পত্রিকার ওয়েব সাইটটি বেশ কয়েকবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিদেশে আশ্রয় নেওয়া কর্মীদের মধ্যে যারা নির্যাতিত হন তাদের ক্ষেত্রে যেটা ঘটে সেটা হলো- বিদেশি সরকারগুলো তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। তাদের পক্ষে বিবৃতি দেয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রবাসিদের ভয় দেখিয়ে সরকার সফল হলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা হিতে বিপরীত হয়।

নির্বাসিত সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে পরিচিত কিছু মুখ দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেছেন যদি দেশে তাদের স্বজনরা সবচাইতে কঠিন পরিস্থিতিরও মুখোমুখিও হস তবুও তারা তাদের কাজ থেকে পিছপা হবেননা।

সিডনিভিত্তিক গীতিকার এবং সুরকার রাহাত শান্তনু তার এক গানে বলেছেন “দুঃশাসনের এই ক্রান্তিলগ্নে একসাথে সবাই বলবো, উই রিভোল্ট।” বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে লেখা এই গানটি যেনো বিদেশে নির্বাসিত সাংবাদিকদের ইচ্ছার প্রতিধ্বনি করছে যারা যেকোনো মূল্যে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে অঙ্গিকারাবদ্ধ।

ডিপ্লোমেটের এই প্রতিবেদনটি জাস্ট নিউজের জন্য অনুবাদ করেছেন তাশফিন চৌধুরী।