পদযাত্রায় বিএনপি কর্মী হত্যার ঘটনা দ্রুত তদন্তের আহবান

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগে পুলিশকে সংযত হতে বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগে পুলিশকে সংযত হতে বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের কর্মসূচিতে বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের সংযত আচরণ নিশ্চিত করতে সরকারকে আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

মঙ্গলবার সরকার পতনের এক দফা দাবিতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, ধরপাকড় এবং দলটির এক কর্মী গুলিতে নিহত হবার প্রতিবাদে বুধবার এই আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসাসমিন কাভিরাতনে বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচনের পূর্ব মুর্হূতে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হচ্ছে, দেশটিতে সংগঠিত ব্যাপক বিক্ষোভে পুলিশ যেভাবে বল প্রয়োগ করছে  এবং বিরোধী যেকোনো মতে ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে ধরপাকড় হচ্ছে সেটা উদ্বেগের।”

তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ করে দেওয়া ও তার সুরক্ষা দেওয়া এবং বল প্রয়োগ করার আগে পুলিশ যেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা সমাধানের চেষ্টা করে সেটা নিশ্চত করা সরকারে  দায়িত্ব। বাংলাদেশ সরকারকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দৃঢ়ভাবে আহবান জানাচ্ছে আইনশৃঙ্খলবাহিনীর কর্মকর্তারা জন্য বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংযত হন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র বৈধ আইনপ্রয়োগের ক্ষেত্রে বল প্রয়োগ কার্যকর করা হয় সেটার কঠোর এবং যৌক্তিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে হবে।”

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি কর্মী মো. সজিব হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের আহবান জানিয়ে অ্যামনেস্টি বলেছে, বিএনপি কর্মী হত্যাকান্ডের দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে যাতে করে জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায়। বিচারে মৃত্যুদেন্ডের সাজা এড়িয়ে যেতে আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসাসমিন কাভিরাতনে বলেন, “মানবাধিকারের সার্বজনীন ষোষণা এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস এরং নীতি অনুসারে স্বাধীন মত প্রকাশ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ এই সংগঠনের সদস্য। জনগণকে বিক্ষোভ করার এবং বিরোধীমত চর্চার সুযোগ দিতে হবে।”

তিনি বলেন, “বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে সরকার এই সংকেত দিচ্ছে যে এই দেশে ভিন্ন রাজনৈতিক মতকে সহ্য করা হয়না।”

এনআর/