বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনায় ঘোষণার বাইরে কিছু নেই: বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে মিলার

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনায় ঘোষণার বাইরে কিছু নেই: বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে মিলার

মুশফিকুল ফজল আনসারী, স্টেট ডিপার্টমেন্ট করসপন্ডেন্ট

নয়াদিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম যুক্তরাষ্ট্র-ভারত (২+২) মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র  এবং ভারতের মধ্যকার আলোচনায় প্রকাশিত ঘোষণার বাইরে কিছু নেই।

সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত (২+২) মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে আলোচনা হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশ ইস্যুতে তাদের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে।--বাংলাদেশ এবং ভারতের বেশ কিছু মিডিয়ায় এরকম খবর প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে এই মন্তব্য করেন মুখপাত্র মিলার।

উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে (২+২) বৈঠকে অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর দুই দেশের নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয় উল্লেখ করে খবর প্রকাশ করে ভারত এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু মিডিয়া। যুক্তরাষ্ট্র তরফে তখনও বাংলাদেশের বিষয়টি  উল্লেখ করা হয়নি।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, "ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধীদলের মধ্যে আলোচনার  আহবান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। যখন বিরোধীদলের অধিকাংশ নেতাই জেলে তখন কীভাবে এই আলোচনার সম্ভব? আর আমি এটা ভেবেও অবাক হচ্ছি যে, বিরোধীদলের কে এই চিঠি গ্রহণ করবে? কারণ, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। মজুরি বাড়ানোর আন্দোলনে অন্তত ৫ শ্রমিক নিহত হয়েছে? এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী? আর এমন পরিস্থিতিতে সংলাপ কীভাবে সম্ভব?"

জবাবে মিলার বলেন, "এখানে বিভিন্ন সাংবাদিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করছেন, বিষয়টিকে আমি স্বাগত জানাই। তবে কারো পক্ষ নেয়া থেকে আমি বিরত আছি। বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কারো পক্ষ নিবেনা। আমরা এক দলের ওপর অন্য দলকে প্রাধান্য দেইনা। আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।"

অপর এক প্রশ্নে এই প্রতিবেদক জানতে চান, "নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যকার (২+২)  সংলাপে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কী কোনো আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে ধারণা দিতে পারবেন? বাংলাদেশ এবং ভারতের মিডিয়ার বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে দুই দেশের মধ্যকার বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে ভারত এবং চীন দুই দেশই এটিকে বাংলাদেশের "অভ্যন্তরীণ বিষয়" বলে মন্তব্য করেছে। এটা নিয়ে কিছু বলবেন?"

জবাবে মিলার বলেন, "আমরা বৈঠক নিয়ে যে রিডআউট (বিবৃতি) প্রকাশ করেছি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি ব্লিংঙ্কেন ভারতে যা বলেছেন, এর বাইরে সুনির্দিষ্টভাবে আমি কিছু বলতে পারছিনা।"

এফএইচ/