বাংলাদেশে ভীতি মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে অনঢ় জাতিসংঘ, না হলে অবস্থান পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে ভীতি মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে অনঢ় জাতিসংঘ, না হলে অবস্থান পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি

মুশফিকুল ফজল আনসারী, জাতিসংঘ সংবাদদাতা

বাংলাদেশে ভীতি মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ। তা না হলে দেশটির বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের অনঢ় অবস্থানে জাতিসংঘ মহাসচিব ব্যক্তিগত কোন উদ্যোগ  গ্রহণ করবেন কীনা--এমন প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন মুখপাত্র ডোজারিক।

ডোজারিক বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হলো সেটা নিয়ে জাতিসংঘের অবশ্যই কথা থাকতে পারে।

ব্রিফিংয়ে নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের চলমান সংকটের কথা তুলে ধরে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে জানতেচান, "মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্ট বলছে-- বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি আরেকটি একতরফা নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিরোধীদলের সব নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রেখেই এই নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে। ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজী সার্ভিসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত ২ সপ্তাহে কারাহেফাজতে ৬ জন বিরোধিদলের কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। চলমান এই পরিস্থিতির মধ্যেও আপনি কী এখনও অবাধ, সুষ্ঠু এবং  বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহবান পুর্নব্যক্ত করবেন, নাকি জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরিয়ে আনতে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যেগ গ্রহণ করবেন? গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী ভূমিকা রাখে সে অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জনগণ।"

জবাবে নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘের স্পষ্ট অবস্থানের কথা উল্লেখ করে ডোজারিক বলেন, "আমি এই বিষয়ে আগেও আলোচনা করেছি এবং আপনিও উল্লেখ করেছেন যে, আমরা এমন একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই যেখানে জনগণ কোনো ভীতি প্রদর্শনের আশংকা ছাড়াই তাদের ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে।"

ক্ষমতাসীন সরকারকে নির্বাচন ইস্যুতে কড়া বার্তা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, "কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করা হলো সেটা নিয়ে নির্বাচন শেষে জাতিসংঘ অবশ্যই অবস্থান জানাতে পারে। তবে আমাদের অবস্থানের কোনো নড়বড় হয়নি।"

এমআর/