সাবেক 'মিস ইরাক'কে হত্যার হুমকি

সাবেক 'মিস ইরাক'কে হত্যার হুমকি

ঢাকা, ৩ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ইরাকের জনপ্রিয় মডেল টারা ফারেসকে সম্প্রতি প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এবারে সাবেক 'মিস ইরাক' সীমা কাসিমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছেন। ২০১৫ সালে 'মিস ইরাক' খেতাব জয়ী সীমা কাসিম অনলাইনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তিনিই পরবর্তী টার্গেট।

গত বৃহস্পতিবার টারা ফারেসকে হত্যা করা হয়। তার বিশাল ফ্যান ফলোয়ার ছিল। ইন্সটাগ্রামে ২৮ লক্ষ ফলোয়ার। এর ঠিক দুই দিন আগে একজন নারী হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্ট কে বাসরা শহরে গুলি করে মারা হয়। ঐ নারীর নাম সৌদ আল আলী। এ বছরের আগস্ট মাসে বাগদাদে দুইটি বিউটি পার্লারের দুইজন মালিককে তাদের নিজেদের বাড়িতে হত্যা করা হয়।

এই দুইজনই ছিলেন নারী। তারা মিস ফারেসের সাথে সখ্যতা ছিল বা তাদের একটা সামাজিক যোগাযোগ ছিল। এটা পরিষ্কার না এই হত্যাকাণ্ডগুলোর একটার সাথে আরেকটার কোন যোগসূত্র আছে কীনা।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেছেন, তার মনে হয়েছে হত্যাকাণ্ডগুলো সুপরিকল্পিত এবং তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

সীমা কাসিমের ইন্সটাগ্রামে ২৭ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। তিনি তার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, ইরাকে যেসব নারীরা নিজেদের চেষ্টায় একটা পরিচিতি তৈরি করেছে তাদেরকে মুরগির মতো জবাই করা হয়েছে।

তিনি ফারেসকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ফারেসের বয়স ছিল ২২ বছর। নিজ গাড়িতে করে সেন্ট্রাল বাগদাদে যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে হত্যা করে তাকে। তিনি তার নিরাপত্তার জন্য গত তিন বছর ধরে ইরবিলে বসবাস করছিলেন। তবে মাঝে মাঝে রাজধানীতে আসতেন।

ইরাকের হিউম্যান রাইটস গ্রুপ ইরাকি আল আমাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা হানা এড্ওয়ার বলেছেন, যেসব নারীরা 'পাবলিক ফিগার' তাদেরকে আঘাত করার অর্থ অন্য নারীদের ঘরে বন্দী থাকতে বাধ্য করার একটা পরিবেশ তৈরি করা।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/০৯১২ঘ.)