দেশে ফিরলেন নওয়াজ, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার

দেশে ফিরলেন নওয়াজ, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার

ইসলামাবাদ, ১৩ জুলাই (জাস্ট নিউ) : লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে লাহোর বিমানবন্দরে নামেন তিনি। তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন মেয়ে মরিয়ম নওয়াজও।

বিমানবন্দরেই তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্নীতির দায়ে ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে ৭ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

আদালতের রায় ঘোষণার সময় নওয়াজ ও মরিয়ম লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার লন্ডন থেকে আবুধাবি হয়ে দেশে ফিরলেন তারা। তাদের আগমন উপলক্ষে নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) লাহোরে ব্যাপক শোডাউনের আয়োজন করে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়।

আদালত নওয়াজ-মরিয়মের সঙ্গে ক্যাপ্টেন সফদারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। সফদার হলেন মরিয়মের স্বামী। পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট ওই রায় দেন। কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি নওয়াজকে ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন সফদার গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনাকে কেন্দ্র করে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। নব্বইয়ের দশকে লন্ডনে পার্ক লেনের অ্যাভেনফিল্ড হাউসে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনে নওয়াজের পরিবার। নওয়াজ শরিফ বরাবরই দুর্নীতির এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কেনার অর্থের বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন নওয়াজ।

এর আগে ২০১৫ সালে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসে নওয়াজের। ওই সময় জানা গিয়েছিল, বেশ কয়েকটি অফশোর কোম্পানির সঙ্গে নওয়াজ শরিফের ছেলে-মেয়েদের যোগসূত্র রয়েছে। অভিযোগ আছে, এই কোম্পানিগুলোকে ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করা হয়েছে এবং বিদেশে নানা সম্পদ কেনা হয়েছে। আলোচনায় ছিল, লন্ডনে কেনা এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলোও।

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল নওয়াজ শরিফকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। আদালত তাকে রাষ্ট্রীয় যে কোনো পদে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে আদালতের রায়ে দলীয় প্রধানের পদও ছাড়তে হয় নওয়াজকে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২২২৩ঘ.)