ছাত্রলীগ নেতার ঘর থেকে নিহতের রক্তমাখা জিনিসপত্রসহ ছুরি, চাপাতি উদ্ধার

ছাত্রলীগ নেতার ঘর থেকে নিহতের রক্তমাখা জিনিসপত্রসহ ছুরি, চাপাতি উদ্ধার

বগুড়া, ১৯ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শ্রাবণ বিশুর ভাড়া করা বাড়িতেই ছাত্র নাঈম ইসলামকে (২০) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। বিশুর ভাড়া বাড়িতে রবিবার রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শোবার ঘর ও পাশের একটি ঘরের তালা ভেঙে সেখান থেকে নিহত নাঈম ইসলামের জুতা, মানিব্যাগ, শিক্ষা আইডি, রক্তমাখা ছুরি, দুটি রামদা, দুটি চাকু, রক্তাক্ত বালিশ, কম্বল, চাদর ও রক্ত মোছার কাপড় উদ্ধার করেছে। সেই ঘরের মেঝে খোঁড়া ও প্রচুর রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিশ সদস্যরা।

এসব ঘটনায় থানা পুলিশ নিহত নাঈম ইসলামের মা’র দায়ের করা মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করার পর আদালতের কাছে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। পুলিশ বলছে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার বিষয়ে জানা যাবে।

সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ জানায়, নিহত নাঈম বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মড়িয়া গোলাবাড়ি গ্রামের সোনা ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের ছেলে। সে বগুড়া শহরের বেসরকারি পলিটেকনিক বিআইআইটি’রা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। ১৫ নভেম্বর সকালে ফোন পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। ১৬ নভেম্বর সকালে সারিয়াকান্দি বাজারের পূর্বপাশে তার গলাকাটা ও আগুনে ঝলসানো বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। এরপর রাতেই নাঈমের মা নাজমা বেগম ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই দিনে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে একজন এখনও পলাতক রয়েছে।

সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন জানান, উপজেলার বাড়ইপাড়ার কান্টু মোল্লার ছেলে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শ্রাবণ বিশু বাজার এলাকায় সন্তোষ খলিফার বাড়িতে ভাড়া থাকত। ধারণা করা হচ্ছে বিশুর ঘরেই নাঈমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ঘরের পাকা মেঝে খোঁড়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে কোনো কারণে লাশ বাইরে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

শনিবার গ্রামের একটি মাঠ থেকে নাঈমের অ্যাপাচি মোটরসাইকেল ও রক্তমাথা শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নাঈমের মোবাইল ফোনটি এখনও পাওয়া যায়নি। গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা অনন্ত শ্রাবণ বিশু, তার বন্ধু আতিকুর রহমান, সিহাব বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও অন্তর মিয়াকে রবিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২০৫৫ঘ.)