ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়সসীমা ৩০ নির্ধারণের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রগতিশীল ছাত্রজোট’।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে তারা। একই সাথে নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সহ-সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় ছাত্রসংগঠনগুলোর সিদ্ধান্তকে যেভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ডাকসু ও হল সংসদ ফি যারা দেয়, তাদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার বিধান রাখা হয়নি। আবার অত্যন্ত অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়সসীমা ৩০ বছর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে ক্রিয়াশীল অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনের দাবি থাকা সত্বেও ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে না করে হলগুলোতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ও হলে দখলদারিত্বের পরিবেশ থাকায় শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বয়সসীমার ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে ইমরান হাবিব রুমন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোন বয়সে পড়ার সুযোগ অবারিত রাখা উচিত। বয়সসীমার ধারণা দিয়ে একে সংকুচিত করা অনুচিত।
লিটন নন্দী বলেন, আচরণবিধিতে শ্রেণীকক্ষে প্রচারণার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা অযৌক্তিক। কেননা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে বড় জায়গা শ্রেণীকক্ষ। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে দখলদারিত্ব বৈধতা পেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সম্মেলন থেকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতার সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর ও হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের বিধি রেখে সংবিধান ও আচরণবিধির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এমআই
