আমার কি ক্ষমতা আছে, আমি বিব্রত: চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা

আমার কি ক্ষমতা আছে, আমি বিব্রত: চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের অভিযোগের উত্তরে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেছেন,‘আমি বিব্রত’। এসব ঘটনার জন্য হল প্রশাসনকে দায়ী করেন তিনি।

সোমবার বিকাল ৪টা ২৪ মিনিটে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন নির্বাচন বর্জন করা বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ভোটের ফলাফল ঘোষণা না করার দাবি জানান। জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি কিছু বলবো না। তোমাদের কথা শুনেছি।’

কর্মী ও প্রার্থীরা তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্রলীগকে জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনারা নিয়ে থাকলে আমাদের কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করালেন।’ তখন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘যেসব ঘটনা আজ ঘটেছে সেগুলোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে বিব্রত।’

স্যার আপনি বিব্রত হলে কী হবে? আপনার অধীনে থেকে ভোটে কারচুপি হবে আর আপনি বিব্রত হয়ে একটি পক্ষকে জেতানোর কাজ করবেন, তা কী করে হয়? এসব প্রশ্ন তোলেন প্রার্থীরা। জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমার কী ক্ষমতা আছে বলো? আমি যথাযথ জায়গায় তোমাদের কথাগুলো জানাবো।’

কত সময়ের মধ্যে জবাব পাওয়া যাবে এমন প্রশ্ন করলে ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলন, ‘যার কাছে, যেখানে যেতে তোমাদের মন চায়, তোমরা যাও। আমাকে সময় দাও। আমার কমিটি আছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’

প্রায় আধা ঘণ্টা কথা কাটাকাটির পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ত্যাগ করেন প্রার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুরে ভোট বর্জন করেন ছাত্রলীগ ছাড়া সবকটি প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। ২৮ বছর পর সোমবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এমআই