জাবির ঘটনায় রাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

জাবির ঘটনায় রাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের মারধর ও লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। এতে ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এছাড়া আন্দোলনকারী এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে গেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

আটককৃত শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ শুভ। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।

অন্যদিকে, হামলায় আহতরা হলেন আবদুল মজিদ অন্তর, মোর্শেদ, মাজহার ও শাহরিয়ার রিদম।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী দলে বেঁধে রাজশাহী-ঢাকা অবস্থান নিলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন। এক পর্যায়ে সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষকরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ড হয়। তখন পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।

হামলায় আহত আবদুল মজিদ অন্তর জানান, তাদের ওপর পুলিশ মারধর ও লাঠিচার্জ করে আবদুল্লাহ শুভ নামের একজনকে আটক করে নিয়ে গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী মতিহার থানা পুলিশের এসি মাসুদ জানান, কাউকে মারধর বা আটক করা হয়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো। তাই তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এমআই