ভিপি নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা

ছাত্রলীগ হামলায় আছে পুলিশের মামলায় নেই

ছাত্রলীগ হামলায় আছে পুলিশের মামলায় নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর গত রবিবারের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় সোমবার দিনগত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছে। তবে মামলায় নেই হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া এবং নেপথ্যের ইন্ধনদাতা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নাম।

এ কারণে গতকাল নুরের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নুরের এ অভিযোগ এজাহার হিসেবে থানায় রেকর্ড করা হয়নি।

এদিকে ডাকসু ভবনের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত হামলাকালীন সময়ের গায়েব হয়ে যাওয়া ভিডিও ফুটেজের হদিস মেলেনি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। ঢাবিতে পড়ুয়া সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে গতকাল স্মারকলিপি প্রদান করেন উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ঢাবি প্রশাসন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে জানিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এ সময় হামলাকালীন ভিডিও ফুটেজ গায়েব হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপাচার্য জানান, ফুটেজ উদ্ধারে পুলিশের সহায়তা কামনা করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ গায়েবকা-েও সন্দেহের তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।

অন্যদিকে ভিপি নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড শুনানিকালে কাঠগড়ায় আসামিদের হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।

নুর ও তার সঙ্গীদের মধ্যে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা গতকাল দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে জানান, আহতদের অবস্থা উন্নতির দিকে। তবে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেল শঙ্কামুক্ত নন।

ঢাবি বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ডাকসু ভিপির ওপর হামলা মানে গোটা জাতির ওপর হামলা।

পরিকল্পিতভাবে একের পর এক এসব হামলা চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে আহতদের চিকিৎসাব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গতকাল জানিয়েছেন, নুরের ওপর কেন বারবার হামলা করা হচ্ছে, তা সরকার খতিয়ে দেখবে।

ডাকসু ভিপির কক্ষে প্রবেশ করে নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা করার প্রতিবাদে গতকালও ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে যোগ দেওয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী, অভিভাবক, শিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষ হামলাকারী ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও প্রশাসনিক বহিষ্কারের দাবি জানান।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গতকাল বিকালে ‘ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, ভিপি নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে উপস্থিত হতে না পারলেও বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে বার্তা পাঠান গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আবদুর রব, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আমানুল্লাহ আমান, মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাবেক জিএস মোশতাক আহমেদ। সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ)-বিসিএল, স্বতন্ত্র জোটের নেতৃবৃন্দ সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল সংসদের নেতারাও সংহতি জানান।

সমাবেশে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল একে ন্যক্কারজনক হামলা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, শিক্ষক হিসেবে এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।

সহকারী অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান বলেন, ১৯২১ সালের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন হামলার নজির নেই। প্রক্টর অফিসের জানালা দিয়ে ডাকসু ভবন দেখা যায়। কিন্তু ঘণ্টাব্যাপী হামলার ঘটনা ঘটলেও প্রক্টরিয়াল টিম নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এমতাবস্থায় দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতায় প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।

সমাবেশে ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন তিন দফা দাবি তুলে ধরেন-হামলার দায়ভার নিয়ে প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানীর পদত্যাগ; ডাকসু ভবনের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার এবং হামলাকারী ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার।

নুরের লিখিত অভিযোগে ছাত্রলীগের যেসব নেতা-কর্মীর নাম

ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৩৭ জনের নামে গতকাল মামলার আবেদন করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। দুপুরে নুরের পক্ষে আবেদনটি নিয়ে শাহবাগ থানায় যান ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক। এর পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, মামলার আবেদন নিয়ে নুরের লোকজন থানায় এসেছিলেন। আবেদনে কিছু সংশোধনী দিতে বলা হয়েছে। এর পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে নুরের আবেদন সংশোধন করে ফের শাহবাগ থানায় জমা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ওসি জানান, একটি মামলা হয়েছে। তাই পৃথক আর কোনো মামলা হবে না। আগের মামলাতেই নুরের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হবে।

নুরের আবেদনে ছাত্রলীগের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন-ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ অনিন, ডাকসু সদস্য রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য, মাহমুদুল হাসান, ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ঢাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক উপসম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ তপন, ঢাবির জিয়া হল সংসদের জিএস হাসিবুল হাসান শান্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক সিফাতুজ্জামান খান, এএফ রহমান হল সংসদের ভিপি আবদুল আলীম খান, বিজয় একাত্তর হল সংসদের এজিএস আবু ইউনুস, সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জাহান খান, মুহসীন হল সংসদের জিএস মিজানুর রহমান মিজান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম, এএফ রহমান হল সংসদের জিএস আবদুুর রহিম সরকার, সাহিত্য সম্পাদক অনজিল ইমরান তালাশ, ঢাবি ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাবু, জিয়া হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন সাত্তার, ঢাবি ছাত্রলীগের ছাত্র ও শিক্ষাবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক ইবনুল হাসান উচ্ছল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-স্কুলবিষয়ক সম্পাদক খাজা আয়ের সুজন, ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মিলন হোসেন নীরব, ঢাবির কবি জসীমউদদীন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ, ঢাবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষা সম্পাদক হৃদয় হাসান সোহাগ, চারুকলা ছাত্রলীগের উজ্জল, আরিফুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখা সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা রিপা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম মাহবুব, মুহসীন হল ছাত্রলীগের মেহেদী হাসান নিবিড়, ঢাবির বঙ্গবন্ধু হল সংসদের জিএস মেহেদী হাসান শান্ত, ঢাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি জীবন রায়সহ ছাত্রলীগের অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ নেতাকর্মী।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণ জানতে চান অভিভাবকরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে-কারণ জানতে চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণে হতবাক, বিমর্ষ ও উদ্বিগ্ন বলে জানান। উপাচার্যকে বলেন, আপনার আচরণ অপরাধীদের অপরাধ করতে ধারাবাহিকভাবে উসকানি দিচ্ছে।

দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে। অভিভাবকদের পক্ষে স্মারকলিপি পড়ে শোনান লেখক ও শিক্ষা আন্দোলনকর্মী রাখাল রাহা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম, উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের পক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চিত্রশিল্পী শহিদুল আলম ও আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপাচার্যকে উদ্দেশ করে রাখাল রাহা বলেন, মাননীয় উপাচার্য আপনি বারবার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন ব্যর্থ হচ্ছেন, তা জানতে চাই। এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে উপাচার্য বলেন, আপনাদের বার্তা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সহায়তা করবে। অভিভাবকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে, যা প্রত্যাশিত ছিল না। যারাই এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ভিপি নুরের ওপর হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে-সাদা দল

ডাকসু ভিপির ওপর হামলা মানে গোটা জাতির ওপর হামলা। পরিকল্পিতভাবে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে।এমন মন্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে আহতদের চিকিৎসা-ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান শিক্ষকরা। ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান, রোকেয়া হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদ, অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক আল আমিনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক এতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, নুরের ওপর হামলার কারণে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ঢাবি শাখার সভাপতি এএসএম সনেট, এএফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিমউদদীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম ও মাহবুব হাসান নিলয়। এজাহারে অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।