কোটা আন্দোলনের নেতা সুহেলকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

কোটা আন্দোলনের নেতা সুহেলকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

ঢাকা, ১২ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সেটা তিনি উল্লেখ করেননি।

এরআগে গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী লাকী আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে শান্তিনগরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে সুহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বিভাগের ছাত্র। সেই সূত্রে মাঝেমধ্যে এসে আমার বাসায় থাকত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার সেলিনা বলেন, এ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য এখনও আসেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও বলা হয়, আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না, আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সুহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিবরণ জানান লাকী আক্তার।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা নাগাদ ডিবি পুলিশের আট থেকে ১০ জনের একটি দল তার বাসায় অভিযান চালায়। তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির মালিককে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে সুহেলকে নিয়ে গেছে।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক এ সভাপতি লিখেন- আলাদা একটি কক্ষে সুহেলকে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

এর আগে গত ২৩ মে বিকালে পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছিলেন জবি ইংরেজি বিভাগের ১০ ব্যাচের ছাত্র সুহেল।

সুহেল তখন জানিয়েছিলেন, কোটা আন্দোলনের জন্য দ্বিতীয়বার তাকে মার খেতে হয়েছে। প্রথমবার চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারা হয়েছিল। দ্বিতীয়বারের মারধরে ঠোঁটের বাইরে ৯টা ও ভেতরেও দুটি সেলাই দিতে হয়েছে।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নেতৃত্বের পাশাপাশি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৬ঘ.)