স্কুলে সন্তানকে নিরাপদ রাখতে কী করবেন?

স্কুলে সন্তানকে নিরাপদ রাখতে কী করবেন?

সন্তানকে নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকেন বাবা-মা। বিশেষ করে শিশুরা যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে তখন তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। স্কুলে ঠিকমতো গেল কি না, ক্লাস করছে তো? পড়া-লেখায় মনোযোগী তো। এসব অধিকাংশই অভিভাবক ভাবেন। তবে মেয়ে সন্তানদের নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তা এখন অনেক বেশি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন স্কুলে এখন যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে শিশুরা। আপনার অজান্তেই আপনার সন্তানের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারছেন না।

প্রত্যেক বাবা-মা চান সন্তান যেন নিরাপদে থাকে। তবে স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে বাসায় ফেরা পর্যন্ত সন্তানকে কীভাবে নিরাপদ রাখবে সে বিষয়ে অনেক কিছুই আমাদের অজানা।

বাংলাদেশে মাত্র গত ১৫ দিনেই কমপক্ষে ৪৭টি শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টিই ছিল ধর্ষণের ঘটনা। উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই তথ্য দিচ্ছে।

শিশুদের প্রতি এমন নির্যাতনের সংখ্যা হঠাৎ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তাই এটি অবশ্যই ভয়ের কারণ।

শিশুদের যৌন নির্যাতন কী? এটি কোনো শিশুর সঙ্গে ঘটছে কিনা? স্পর্শকাতর বিষয় অভিভাবকরা ছোট শিশুদের কীভাবে শেখাতে পারেন?

তবে অনেক মা বলেছেন, তারা যদিও শিশুর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। তবে বাবার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি মুশকিলের।

এ বিষয়ে ডা. বেদৌরা শারমিন বলেছেন, স্পর্শকাতর এই বিষয়টি অভিভাবকদের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। বড় শিশুদের ক্ষেত্রে এসব বিষয় মুখে বলা যেতে পারে। তবে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দিতে হবে। কারণ শিশুরা অনেক কিছু ভুলে যায়।

তিনি বলেন, শিশু বলে অনেক সময় তাদের কথা শুনতে চায় না। শিশুর কথা শুনতে হবে ও তাকে বিশ্বাস করতে হবে। এছাড়া তাদের আচরণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।

শিশুদের প্রতি নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলছেন,

সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট হবে বলে আমরা অনেক সময় চুপ করে থাকি। তবে তা মোটোও ঠিক নয়। শিশু কারো কাছে নিরাপদবোধ না করলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে।

আসুন জেনে নেই স্কুলে শিশুকে নিরাপদ রাখতে কী করবেন?

১. শিশুকে একা বা বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে স্কুলে দেবে না।

২. শিশুর স্কুলের খোঁজ নিন। এছাড়া তার ক্লাসে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা তা দেখুন।

৩. শিশুর আচরণগত কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না খেয়াল করুন।

৪. শিশু কোনো অভিযোগ দিলে বিশ্বাস করুন এবং মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

৫. বিশেষ করে মেয়ে শিশুকে সবার সঙ্গে মিশতে দেবেন না।

৬. বড় শিশু হলে মুখে বলুন। ছোট হলে বারবার মনে করিয়ে দিন।
৭. শিশুদের সঙ্গে কৌশলে খোলামেলা আলাপ করুন।

এমআই সূত্র: আনন্দবাজার