তথ্যমন্ত্রীকে ফুল দেয়া নিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মারামারি

তথ্যমন্ত্রীকে ফুল দেয়া নিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মারামারি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুল দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ছাত্রলীগের দু‘পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই ঘটনার পর সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম চট্টগ্রামে আসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মন্ত্রী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছান। এর আগে থেকেই সেখানে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল।

মন্ত্রী আসার পর প্রথমে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে এবং পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় সভাস্থলও ছিল নেতা-কর্মীতে ভরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের শখানেক নেতাকর্মীও।

মতবিনিময় শেষ করে মন্ত্রী চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হন।
তখন সার্কিট হাউজের সামনে নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ফুল দেয়া, মোবাইলে ছবি তোলা নিয়ে হুলস্থলের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়ান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে তানভীর হোসেন তপু বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে সার্কিট হাউজে মন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মন্ত্রী বের হওয়ার সময় ভিড়ের মধ্যে ফুল দিতে গিয়ে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় কয়েকজন ছোট ভাই আর রাগ সামলাতে পারেনি। তখন সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। আমরা দ্রুত তাদের সরিয়ে দিয়েছি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার বলেন, ছাত্রলীগের জুনিয়র কয়েকজন ছেলের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। আসলে মন্ত্রীকে বরণ করতে অনেক নেতা-কর্মী, সমর্থক সার্কিট হাউজে গিয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে সামান্য বিশৃঙ্খলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি নিয়ে মাতামাতিরও কিছু নেই।

ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ধাক্কাধাক্কি-হাতাহাতি-মারামারি কিংবা কেনোরকম বিশৃঙ্খলা আমি কিছুই দেখিনি। আমি কিছু জানিও না।

সার্কিট হাউজে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্কিট হাউজের কম্পাউন্ডের বাইরে কয়েকজন ছেলেকে হাতাহাতি-মারামারি করতে দেখেছি। পরে আবার নিজেরাই সমাধান করে চলে গেছে। এতে সার্কিট হাউজের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এমআই