দেশের ১০২৫ গার্মেন্টসে ২৮১ কোটি ডলারের অর্ডার বাতিল

দেশের ১০২৫ গার্মেন্টসে ২৮১ কোটি ডলারের অর্ডার বাতিল করোনাভাইরাসের কারণে অধিকাংশ পোশাক কারখানাই বন্ধ রয়েছে, সুরক্ষা মেনে কিছু চালু রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

দেশের তৈরি পোশাক কারখানায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই বাতিল হচ্ছে রপ্তানি আদেশ। সর্বশেষ গতকাল রবিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২৫ কারখানার ২৮১ কোটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ডলার সমপরিমাণ অর্ডার বাতিল হয়েছে।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে রপ্তানি আদেশ স্থগিত করছে ক্রেতারা। এটা স্থগিত হলেও মূলত বাতিল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

বিজিএমইএর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ৮৬ কোটি ৪১ লাখ পিস পণ্যের অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করেছে বিদেশি ক্রেতারা। এর মূল্য ২৮১ কোটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ডলার। ১০২৫টি কারখানায় এই অর্ডার বাতিলের ফলে ২০ লাখ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

এদিকে বিজিএমইএর অনুরোধের পরও কিছু কারখানা চালু রয়েছে। এসব কারখানায় তৈরি হচ্ছে মূলত চিকিৎসাকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসামগ্রী পিপিই ও মাস্ক। এর সংখ্যা ১০০টি।

পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সক্রিয় কারখানার সংখ্যা এখন চার হাজার। এর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ৩ হাজার ২০০, বাকি ৮০০ বিকেএমইএর সদস্য। করোনার প্রভাবে গতকাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৯০০ পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং রপ্তানি আদেশ না থাকার কারণে এসব কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের পর গত বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সংগঠন দুটির সদস্যদের কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায়। তবে যেসব কারখানায় রপ্তানি আদেশের কাজ আছে এবং পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে, সেসব কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।