সহজ ভ্যাট-ট্যাক্স পদ্ধতি চান ব্যবসায়ীরা

সহজ ভ্যাট-ট্যাক্স পদ্ধতি চান ব্যবসায়ীরা

ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চায় কিন্তু পদ্ধতিটা সহজ হওয়া উচিত।

শনিবার মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার এখানে (ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া) এক টাকা বিনিয়োগ করলে একশ টাকা পাবে তাহলে সরকার কেন এখানে বিনিয়োগ করছে না। সরকার এতো বড় বাজেট দিচ্ছে, এতো কিছু করছে। আমি তো মনে করি এই জায়গায় (ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া) বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে চায়, ট্যাক্স দিতে চায়। সবই দিতে চায়। ভ্যাট আদায়ে একটা মার্কেটে একশটা দোকান থাকলে ১০টা দোকানে মেশিন বসানো হলো। আমরা বলছি দিলে সবাইকে দিবেন, না দিলে দিবেন না। কত টাকা লাগে এখানে। বেশি টাকার তো দরকার নাই। সরকার এতো টাকার বাজেট দিচ্ছে, এতো কিছু করছে, আমি তো মনে করি এখানে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত। তিনি বলেন, ‘সরকার এখানে এক টাকা ইনভেস্টমেন্ট করলে ১০০ টাকা পাচ্ছে। তাহলে ইনভেস্টমেন্ট কেন করছে না।

কালো টাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেওয়া উচিত। এটা সব সময়ের জন্য দেওয়া হলে যারা নিয়মিত ভ্যাট দেয় তারা নিরুৎসাহিত হবেন। সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়েছিল, তার সম্পূর্ণ এখনও দেয়া হয়নি। কেন দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবো। এখন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আমরা আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অগ্রিম আয়কর (এআইটি), আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করাসহ আরও কয়েকটি দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই। তিনি আরও বলেন, অগ্রিম আয়কর (এটিআই) বেআইনি। এফবিসিসিআই থেকে বিদ্যমান পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ বাজেটে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। এই অগ্রিম আয়কর আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সর্বমোট প্রাপ্তি তিন কোটি টাকা বা ততোধিক হলে ব্যক্তি আয়করদাতাদের ন্যূনতম কর হার দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ করা হয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম কর হার দশমিক ২৫ করার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান উপস্থিত ছিলেন।