রাজারা চায় না, প্রজারা ক্ষমতাবান হোক : হিরো আলম

রাজারা চায় না, প্রজারা ক্ষমতাবান হোক : হিরো আলম

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম বলেছেন, রাজারা চায় না, প্রজারা ক্ষমতাবান হোক। সেজন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে আমার ওপর। এদেশের এমপি-মিনিস্টার চায় না, জনসাধারণ এমপি-মিনিস্টার হোক।

মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যান হিরো আলম। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

হিরো আলম বলেন, ‘কী কারণে, এরা অলটাইম চায় - এদের বউ, এদের বাচ্চা, এদের বাপ, নানা-নানি এমপি হোক। আমাদের মতো জনসাধারণদের এরা এমপি হতে দিবে না।’

কী কারণে আপনার মনোনয়নপত্র বাতিল হলো, ভুলটা কার ছিল- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘আমি তো জানি আমার কোনো ভুল ছিল না। আমি এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম। ওখান থেকে তারা শতকরা ১০ জন সিলেক্ট করছিল। এর মধ্যে ওরা সাতজন বলে রিয়েল (প্রকৃত) পাইছে, বাকি তিনজন খুঁজে পায়নি। তারা যখন রাতে কাগজ দেয়, তখন বলল পাঁচজনের কথা।’

তার মানে আপনারটা কী ষড়যন্ত্র করে বাতিল করা হয়েছে- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, অবশ্যই ষড়যন্ত্র করছে।

কে ষড়যন্ত্র করেছে? কার ইঙ্গিত ছিল-এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘ওখানে যারা আমার ক্যান্ডিডেট (প্রতিদ্বন্দ্বী) ছিল। ওই এলাকায় আপনারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন, হিরো আলম ছাড়া কেউ কোনো কিছু বলে না। হিরো আলম আওয়াজ উঠে গেছে। আমার যারা প্রতিদ্বন্দ্বী, সব কয়টায় মিইলা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওখানে আরো দুইজনের বাতিল হয়েছিল, তারা কী করল, হইচই করল। গণ্ডগোল লাগাতে চেষ্টা করল। তারপরে তাদেরটা গ্রহণ করা হলো।’

হিরো আলম আরো বলেন, ‘আমি তো বলব, আমার ক্ষমতার জোর নাই, আমার অর্থ-সম্পদ নাই, জোর গলায় কথা বলতে পারলাম না। আমারটা গ্রহণ করল না। তা ছাড়া একবার বলল সাতটা, যখন কাগজ দিল পাঁচটা। তারা অবশ্যই আমার সঙ্গে দুর্নীতি করছে।’

আপনি কী শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যাবেন- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘আমি যেহেতু জিরো থেকে হিরো। লড়াই করতে করতে এত দূর আসছি। আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট আপনাদের মিডিয়া। মিডিয়া আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। মিডিয়ার সাথে জনগণের ভালোবাসা আছে। যে কারণে আমি আজ এত দূর। তাই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। পাই আর না পাই, বীরের মতো মাথা তুলে যাবো এখন থেকে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হিরো আলম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু দলটির মনোনয়ন না পেয়ে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া হিরো আলম।

রবিবার যাচাই-বাছাইয়ের দিনে হিরো আলমসহ সাতজনের মনোনয়ন বাতিল করেন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। তবে আশরাফুল ইসলাম আলম ভোটারদের স্বাক্ষরসংবলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন, তা যাচাই করে দেখা গেছে-তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮৩০ঘ.)