কানের লালগালিচায় বাংলাদেশ

কানের লালগালিচায় বাংলাদেশ

প্রথম বারের মতো পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী কান চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। আঁ সার্তেইন রিগার্দ বিভাগের প্রথম সিনেমা হিসেবে ফ্রান্সের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের সাল দুবুসি প্রেক্ষাগৃহে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে।

আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। প্রদর্শনী শুরুর আগে আয়োজনের লালগালিচায় ফটোশুটে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। আট জনের সেই দলে ছিলেন সিনেমাটির পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমি চুয়া, চিত্রগ্রাহক তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জ্বল, শব্দ প্রকৌশলী শৈব তালুকদার, কালারিস্ট চিন্ময় রয় ও নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন, দুই কোটি ইউরো (২০০ কোটি টাকার বেশি) বাজেটের এবারের আয়োজনের পর্দা উঠেছে ফ্রান্সের বিখ্যাত পরিচালক লিও কারা ‘অ্যানেট’ সিনেমার মাধ্যমে। এ বছর উৎসবের জন্য জমা পড়ে দুই হাজার ৩০০ সিনেমা, যার মধ্যে চার বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৬৩টি সিনেমা। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বর্ণপামের জন্য লড়াই করবে ২৪টি সিনেমা। উৎসবের প্রধান জুরি বিখ্যাত মার্কিন পরিচালক স্পাইক লি।

জানা গেছে, প্রথম শোয়ের পর সাল দুবুসিতে আগামীকাল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট) আবারও প্রদর্শিত হবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আঁ সার্তেইন রিগার্দ বিভাগে বিজয়ী হলে ৩০ হাজার ইউরোর পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই ফল ঘোষণা করা হবে ১৬ জুলাই।

আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আছেন সাবেরী আলম, আফিয়া জাহিন জায়মা, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই, ফারজানা বীথি, জাহেদ চৌধুরী মিঠু, খুশিয়ারা খুশবু অনি, অভ্রদিত চৌধুরী। এটি সাদের দ্বিতীয় সিনেমা, এর আগে ২০১৬ সালে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ শিরোনামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন এই পরিচালক।

প্রোটোকল ও মেট্রো ভিডিওর ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমী চুয়া, নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু এবং সহ-প্রযোজনা করেছেন রাজীব মহাজন, আদনান হাবিব ও সাঈদুল হক খন্দকার। সিনেমাটির সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জ্বল ও সাউন্ড ডিজাইনার শৈব তালুকদার। সহ-প্রযোজনা করেছে সেন্সমেকারস প্রোডাকশন।