সৌদি আরবে ধরপাকড়

আকামার মেয়াদ আছে ১১ মাস, তবু পাঠানো হলো বাংলাদেশে

আকামার মেয়াদ আছে ১১ মাস, তবু পাঠানো হলো বাংলাদেশে

সৌদি আরবে দোকানে কাজ করতেন ঢাকার দোহার উপজেলার আনোয়ার হোসেন। তার আকামা বা কাজের অনুমতিপত্রের মেয়াদ ছিল আরো ১১ মাস। কিন্তু হঠাৎ দোকান থেকে ধরে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

আনোয়ারসহ ১২০ প্রবাসী কর্মী শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে ফেরত আসেন ১৩০ জন। সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের এভাবে ফেরত আসা চলছেই।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরীফুল হাসান জানান, তারা প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে ফেরত আসা কর্মীদেরও বরাবরের মতো খাবারসহ জরুরি সহায়তা দিয়েছেন।

সৌদি আরবে ধরপাকড়ের শিকার হওয়া বাংলাদেশি কর্মীরা জানান, কাজ ও থাকার নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের ধরতে চলমান অভিযান থেকে বৈধ আকামা থাকা কর্মীরাও বাদ যাচ্ছেন না। অনেককে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। এ সময় নিয়োগকর্তাদের ফোন করা হলেও তারা দায়িত্ব নিচ্ছেন না।

সৌদিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের পাশাপাশি বৈধ আকামাধারীদেরও আটক করে বিতাড়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রবাসীরা।

চলতি বছর সৌদি আরব থেকে এভাবে অন্তত ১১-১২ হাজার কর্মী দেশে ফিরেছেন বলে জানান শরীফুল হাসান।

এমআই