সৌদিতে করোনায় প্রাণ হারালো বাংলাদেশি যুবক

সৌদিতে করোনায় প্রাণ হারালো বাংলাদেশি যুবক

সৌদি আরবের মদিনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতকানিয়ার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. জসিম উদ্দিন (৩৬)।

বৃহস্পতিবার সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে মদিনার উহুদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন জসীম উদ্দিনের ছোট ভাই মো. কফিল উদ্দিন। তিনি উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের মধ্যম আজিমপুর আবু তালেব মেম্বারের বাড়ির মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে।

জসীম উদ্দিনের ছোট ভাই মো. কফিল উদ্দিন রাত ৯টার দিকে সৌদি আরব থেকে মুঠোফোনে জানান, জসীমসহ আমরা তিন ভাই মিলে সৌদি আরবের মদিনায় দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছি। মদিনায় আমাদের সুপার স্টোর ও খেজুরের দোকান রয়েছে। গত ২২ মার্চ আমার বড় ভাই জসীমের প্রচণ্ড জ্বর হয়।

ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর কমে যায়। কিন্তু ২৫ মার্চ হঠাৎ শরীর ব্যথা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়। তখন আমরা জরুরি নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স আনি। এরপর অ্যাম্বুলেন্স এসে আমার ভাইকে মদিনার উহুদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর একাধিক বার হাসপাতালে যাওয়ার পরও ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারিনি।

গত তিন দিন আগেও ভাইয়ের খবর নেওয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে কড়াকড়ির কারণে আমি হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারিনি। আজ সকালে আমার ভাইয়ের আকামা’র (কাজের অনুমতিপত্র) ফটোকপি নিয়ে আবার গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানান, জসীম উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এরপর তারা আমার ভাইয়ের মৃত্যুর সনদ, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আকামাসহ যাবতীয় কাগজপত্র আমাকে বুঝিয়ে দেন। উহুদ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদ অনুযায়ী আমার ভাই গত সোমবার (৩০ মার্চ) মারা গেছেন। তবে আমার ভাইয়ের লাশ কখন কোথায় দাফন করা হবে সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারিনি।

সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহেদুল ইসলাম রুবেল জানান, জসীমের মৃত্যুর বিষয়টি তার ছোট ভাই কফিল উদ্দিন সৌদি আরব থেকে আজ ফোন করে আমাকে জানান। এরপর বিষয়টি আমি তার পরিবারের কাছে বলি। জসীমের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পুরো পরিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।