নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক-এর সভাপতি কামাল আহমেদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রবিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নিউইয়র্কের এলমহামর্স্ট হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার এবং কার্যকরি সদস্য মোহাম্মদ সাদী মিন্টু তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত নিশ্চিত করেছেন।
কামাল আহমেদের ভগ্নিপতি ফারুক চৌধুরীর উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি সদস্য মোহাম্মদ সাদী মিন্টু ইত্তেফাককে জানান, গত ৩০ মার্চ মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় কামাল আহমেদকে নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হপাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি কিডনি বিকল হয়ে পড়লে শনিবার বিকালে ডায়ালাইসিস করা হয়। এরমধ্যে শনিবার দিবাগত রাতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভোর সাড়ে চারটায় কামাল আহমেদকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মোহাম্মদ সাদী মিন্টু জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ পাওয়া গেলে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে নিজের জন্য কেনা কবরে তাকে দাফন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। কামাল আহমেদ সপরিবারে নিউইয়র্কের এলমহার্স্টে বসবাস করতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান, কামাল ভাইকে হারিয়ে আমরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হলাম তা কখনো পুরণ হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটিসহ পুরা বাংলাদেশি কমিউনিটি আজ অবিভাবকহীন হয়ে গেলাম।
বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ জানান, কামাল আহমেদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে নিউইয়র্কে মানবসেবায় নিজের সকল স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে প্রবাসীদের কাছে হয়ে উঠেছেন ‘কামাল ভাই’। নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্পৃক্ত থেকে প্রবাসীদের দাবি আদায়সহ সবসময় তাদের পাশে থেকে প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করেছেন তিনি।
কামাল আহমেদ দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতির দাযিত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি প্রবাসে বৃহত্তর সিলেটবাসীর সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন এবং বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিন সমিতির একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি অনেকেরই মৃত্যুর খবর এখন নিত্যদিনের। প্রতি মুহূর্তেই আসছে মৃত্যুর খবর। এ পর্যন্ত নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।