লকডাউনের কারণে আটকা ২৬ বাংলাদেশিকে কারাগারে পাঠানো হল

লকডাউনের কারণে আটকা ২৬ বাংলাদেশিকে কারাগারে পাঠানো হল

বৈধভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ভারতে এসে লকডাউনের কারণে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। তবে তিন মাসের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার অভিযোগে আসামের ধুবড়িতে ২৬ জন বাংলাদেশিকে ফরেনার্স আইনে ফৌজদারি মামলা করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে তারা ধুবড়ি জেলা কারাগারে রয়েছেন। এরা সকলেই বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের চিলামারি থানার রমনা ব্যাপারি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

অবিলম্বে এই ২৬ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা খারিজ করে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আসামের মুখ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সার্ক বিভাগের ডিরেক্টর, ধুবড়ির ডিসি ও এসপি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনকে লেখা এক চিঠিতে মাসুম সম্পাদক কিরীটি রায় বলেছেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ২৬ জন বাংলাদেশিকে অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। করোনা মহামারির জন্য লকডাউন চালু থাকায় তারা ইচ্ছে সত্ত্বেও কোনও যানবাহন পাননি। ফলে লকডাউনের শিকার হয়ে তাদের ভারতেই আটকে থাকতে হয়েছিল। এরা সকলেই তিন মাসের পর্যটক ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে দফায় দফায় লকডাউন বাড়ার ফলে।

মাসুম সম্পাদক জানিয়েছেন, এদের ভারতে থেকে যাওয়ার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। বরং পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তাই অভিযুক্ত ২৬ জন বাংলাদেশির বিষয়টি সহানুভতির সঙ্গে বিবেচনা করে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। যতদিন তা না করা হচ্ছে ততদিন এই ২৬ জন বাংলাদেশিকে আশ্রয় শিবিরে রেখে প্রযোজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

যে ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- মহম্মদ সাইফুল ইসলাম, মহম্মদ সাবিয়ার রহমান, চান মিঞা, মহম্মদ বকুল মিঞা, মহম্মদ আবুল ফরিশ, মহম্মদ আনোয়ার হোসেন, মহম্মদ রাজা মিঞা, মইদুল ইসলাম, মহম্মদ মানিক মিঞা, মহম্মদ রেজাউল করিম, মহম্মদ শহিদুল ইসলাম, মহম্মদ নীরু মিঞা, মহম্মদ হজরত আলি, মহম্মদ আনারুল ইসলাম, মহম্মদ আমিনুল ইসলাম, মহম্মদ নবীকুল ইসলাম, বিপ্লব মিঞা, ইসানুল হক, মহম্মদ আবু হানিফ, মহম্মদ নুরুল হক, মহম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকি, আইনাল হক, শাহ আলম, হাফিজুর রহমান, আলম মিঞা ও ইউনুস আলি।