পাকিস্তানি জঙ্গিবিমান জেএফ-১৭ কিনবে মালয়েশিয়া!

পাকিস্তানি জঙ্গিবিমান জেএফ-১৭ কিনবে মালয়েশিয়া!

কয়েক দিন আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের সবচেয়ে সম্মানিত অতিথি। ইসলামাবাদে পাকিস্তান দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খঅনের পাশে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাধারণভাবে বিশাল সামরিক প্যারেডের আয়োজন করা হয়। চলতি বছর মাহাথির এক গ্রুপ জেএফ-১৭ থান্ডার মাল্টি-রোল জঙ্গিবিমানের অ্যাক্রোবেটিক পারফরমেন্স প্রত্যক্ষ করেন। পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স/চেঙ্গদু অ্যারোস্পেস করপোরেশন (পিএসি/সিএসি) যৌথভাবে এই বিমান তৈরি করেছে।

বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল এই পারফরমেন্সে। এখন আজারবাইজানের পাশাপাশি মালয়েশিয়াও যৌথ চীন-পাকিস্তানি জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমান কেনার কথা গুরুত্ব সহকারে ভাবছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করছে যে গত মাসে তারা এই জেএফ-১৭ দিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ-২১ বিমানকে ভূপাতিত করেছে। নয়া দিল্লি অবশ্য দাবি করেছে, পাকিস্তান ওই আকাশযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-নির্মিত এফ-১৬এস বিমান ব্যবহার করেছিল। ভঅরত দাবি করেছে তারা আমেরিকান এএইএম-১২০ এএমআরএএএম (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম-র‌্যাঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল)-এর ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে। পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমানই কেবল এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

পাকিস্তান ছাড়া মিয়ানমারও এ ধরনের বিমান ব্যবহার করে। নাইজেরিয়াও চিন্তা করছে এ বিমান কেনার।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আসাদ ওমরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তান সফরের পর ওই বিমান দেখে মাহাথির অভিভূত হয়েছিলেন। দেশটি এখন তার বিমান বাহিনী আধুনিকায়নে নজর দিয়েছে। কিন্তু অর্থ সঙ্কটের কারণে তেমনভাবে অগ্রসর হতে পারছে না। ফলে দাম কম হওয়ায় জেএফ-১৭ বিমান হতে পারে ভালো বিকল্প।

পাকিস্তানে মাহাথিরের জেএফ-১৭ দেখার কয়েক দিনের মধ্যেই মালয়েশিয়া লঙ্কাভি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অ্যারোস্পেস এক্সপো আয়োজন করে। মঙ্গলবার এটি শুরু হয়েছে। এখানে মালয়েশিয়া তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারবে। জেএফ-১৭-এর প্রতিযোগী রয়েছে ভারতের হালকা যুদ্ধবিমান তেজাস ও কোরিয়ার এফএ-৫০ গোল্ডেন ইগল।

এখন পর্যন্ত জেএফ-১৭ মালয়েশিয়ার প্রধান আগ্রহ হিসেবে বিরাজ করছে। মালয়েশিয়া অবশ্য জেএফ-১৭ বিমানের আরো উন্নত সংস্করণ চাইছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে রাডার, আরো ভালো প্রতিরোধব্যবস্থা সংযোজন করতে বলছে।

জেএফ-১৭ বিমান রাশিয়ার ডিজাইনে, চীনা লাইসেন্সে নির্মিত। ইঞ্জিনও তৈরি করেছে চীন। মালয়েশিয়া বর্তমানে যে মিগ-২৯ ব্যবহার করে তাতেও এই ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।

এমজে/