১০ দিন আগে সতর্ক করেছিলেন লঙ্কান পুলিশ প্রধান

১০ দিন আগে সতর্ক করেছিলেন লঙ্কান পুলিশ প্রধান

শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা ১০ দিন আগেই দিয়েছিলেন সতর্কবার্তা। তিনি ১১ই এপ্রিল দিয়েছিলেন সতর্কবার্তা শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে। তাতে বলা হয়েছিলো উগ্রপন্থী মুসলিম গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) শ্রীলঙ্কার প্রধান গির্জাগুলোতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে। কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় গির্জায় ইস্টারের প্রার্থনার সময় এই হামলা চলানো হয়। আজ সকালে রাজধানী কলম্বোর কয়েকটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় ৬টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধারাবাহিক এই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লঙ্কা।

কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানে অবস্থিত গির্জায় এই হামলা চালানো হয়। এসব গির্জায় ইস্টার সানডে উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল। তাছাড়া রাজধানীর সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি নামক আরও তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

হোটেল তিনটি রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। কাতুয়াপিটিয়াতে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্তিয়ান নামক গির্জার ছাদ ধসে পড়েছে এবং গির্জার মূল স্থানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে।

শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশটিতে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সংখ্যা মাত্র ছয় শতাংশ। ইস্টার সানডের প্রার্থনার কারণে গির্জাগুলোতে বেশ ভিড় ছিল। পুলিশ বলছে, হামলার জন্য এমন সময়কেই বেছে নিয়েছেন জঙ্গিরা।

রাজধানী কলম্বোর ন্যাশনাল হসপিটালের পরিচালকের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১শ’ ৫৬ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও আছেন। আহত প্রায় ৫শ’ জন। আহতদের রাজধানীর ওই হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

উল্লেখ্য, খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য খুবই আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন ইস্টার সানডে। এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান করেছিলেন।

এমজে/