রাহুলকে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে ১৪০ নেতার পদত্যাগ

রাহুলকে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে ১৪০ নেতার পদত্যাগ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নিজ দলের ভারাডুবির শতভাগ দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু দলের ওয়ার্কিং পার্টির বৈঠকে জ্যেষ্ঠ নেতারা তার এ সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ায় তা থেমে যায়। তবে রাহুল পদত্যাগের ব্যাপারে অটল থাকায় এবার তাকে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে গণ-ইস্তফা দিলেন ১৪০ জন কংগ্রেস সদস্য। সেই তালিকায় রয়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীরা।

শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পদত্যাগকারী সদস্যদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, সেবা দল, জাতীয় কংগ্রেস এবং যুব কংগ্রেসের নেতা। পদত্যাগ করেছেন দীপক বাবারিয়া, অনিল চৌধুরী, রাজেশ ধারমানি বিবেন্দ্রা রাঠোর এবং পবন প্রভাকরের মতো হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা। পদত্যাগ করেছেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ বিবেক তনখা।

গত ২৪ জুন কংগ্রেসের প্রায় ৩০০ জন নেতা কংগ্রেস কমিটির নয়াদিল্লির অফিসে জমায়েত হন। সেখানে অলিখিতভাবে বৈঠক করেন পদত্যাগে ইচ্ছুক নেতারা। সেই বৈঠকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ১৩০ জন কংগ্রেস নেতা। যদিও কংগ্রেসের উপর মহলের নেতৃত্বের দাবি,এমন কোনো বৈঠকের বিষয়ে অবগত নয় দল।

বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস নেতাদের অধিকাংশ নেতারাই রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছিলেন। ইস্তফা দেওয়া নেতাদের দাবি,পদমর্যাদা পূরণ করতে না পারার অনুশোচনাতেই এই সিদ্ধান্ত। রাহুলের সম্মান রাখতে পদত্যাগ করলেন তারা।

পদত্যাগকারী কংগ্রেস নেতা দীপক বাবারিয়া জানান, প্রতিটি কংগ্রেস নেতাকেই নির্বাচনে খারাপ ফলের দায় নিতে হবে। এই গণ-ইস্তফার পরেই দিল্লি কংগ্রেসের নেত্রী শীলা দীক্ষিত তড়িঘড়ি ২৮০টি ব্লক কংগ্রেস কমিটি ভেঙে দেন। রাহুল গান্ধীর পরেই দলের বেশ কয়েকজন পুরানো নেতাকর্মীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলকে সংগঠন শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেন শীলা।

এমআই