বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠাল প্রশাসন

অবরুদ্ধ কাশ্মীরে ঢুকতে পারেননি রাহুলসহ ১২ বিরোধীনেতা

অবরুদ্ধ কাশ্মীরে ঢুকতে পারেননি রাহুলসহ ১২ বিরোধীনেতা

রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, কে সি বেণুগোপাল, আনন্দ শর্মা, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই-এর ডি রাজা, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, আরজেডি-র মনোজ ঝা, এনসিপি-র মজিদ মেমন, জেডিএস-এর ডি কুপেন্দ্র রেড্ডি এবং লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শরদ যাদব। না তাদের কাউকে বিমান বন্দর থেকে কাশ্মীরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ ভারতের এসব বিরোধী রাজনীতিকরা। এদের মধ্যে একজন গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘আমরা তো আইন ভাঙতে আসিনি।’ আরজেডি নেতা মনোজ ঝা’র মতে, ‘কিছু লুকানোর না থাকলে, প্রশাসন আমাদের যেতে দিচ্ছে না কেন?’

শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই দিল্লি­ ফিরতে হয়েছে ১২ জন বিরোধী নেতাকে। এর আগে শনিবার ১১.৫০-এর ভিস্তারার বিমানে দিল্লি থেকে শ্রীনগর পৌঁছান ভারতের বিরোধী নেতারা। দুপুর আড়াইটা নাগাদ শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছান রাহুল-সহ অন্যরা। তবে বিমানবন্দরে উপস্থিত রাজ্যে সরকারের আধিকারিকরা বিরোধী নেতাদের বাধা দেন। ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর সরকার আগেই রাহুল গান্ধীদের না আসার পরামর্শ জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছিল।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে উপত্যকায় ঢুকতে পারেননি কোনও বিরোধী নেতা। প্রতিবারই তাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে টানা কার্ফিউ, অবরুদ্ধ কাশ্মীরে রাহুলদের শ্রীনগরে না আসার আরজি জানায় জম্মু-কাশ্মীর সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য শনিবার ভারতের বিরোধী প্রতিনিধিদল বিমানে করে শ্রীনগর রওনা হন। এর আগে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে দু’বার কাশ্মীর প্রবেশে আটকে দিয়েছে প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে কাটিয়ে তাকে ফিরে আসতে হয়। প্রশাসনের বক্তব্য, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। এমন সময়ে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা শ্রীনগরে এলে পরিস্থিতির ফের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার রাতে রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট এ নিয়ে পরপর তিনটি ট্যুইট করে। সেখানে লেখা হয়েছে, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। এমন সময়ে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা শ্রীনগরে এলে পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থে শ্রীনগরে না আসার জন্য রাহুল-সহ বিরোধী নেতাদের কাছে আবেদন করে প্রশাসন।