কাশ্মীরিদের পক্ষ নেয়ায় শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

কাশ্মীরিদের পক্ষ নেয়ায় শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করা হচ্ছে বলে নানা অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন শেলা। এরপরেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, দাঙ্গায় উসকানিসহ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এত সবের পরেও এখনও নিজের অবস্থানে অনড় শেহলা। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্য আনন্দবাজার পত্রিকা।

সেনা জওয়ানরা কাশ্মীরে খেয়ালখুশি মতো বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং বাসিন্দাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে- গত ১৮ আগস্ট এমনই মন্তব্য করেছিলেন শেহলা। কিন্তু সে অভিযোগ অস্বীকার করে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শেহলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ নিয়ে এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, শেহলার তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে এ ধরনের অভিযোগ তোলে শত্রুশক্তি বা সংগঠন।

এ নিয়ে সমাজকর্মী শেহলা বলেন, সেনা কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করলেই আমি তাদের হাতে প্রমাণ তুলে দেব। আমি এ কথা বলার পরও সেনা তদন্ত শুরু করেছে? তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, পুরোটাই কাশ্মীর থেকে আসা লোকসজনের বিশ্বাসযোগ্য কথোপকথনের ভিত্তিতে। মিথ্যা বলার কোনো প্রশ্নই নেই। আমি একটা নয় অনেকগুলো অভিযোগ তুলেছি। কাশ্মীরের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না, রান্না করতে পারছেন না।

কাশ্মীরিদের পক্ষে টুইটে বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে এবার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তবের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা দায়ের করা হয়।

শ্রীনগরের বাসিন্দা শেহলা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্রী। ২০১৫-১৬ সালে তিনি জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কানাহাইয়া কুমার, উমর খালিদ গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন শেহলা।

এমআই