ইভিএমে যে কোনো বোতাম টিপলেই ভোট পাচ্ছে বিজেপি!

ইভিএমে যে কোনো বোতাম টিপলেই ভোট পাচ্ছে বিজেপি!

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে বোতামই টেপা হোক না কেন, ভোট পড়ছিল বিজেপি প্রার্থীর নামেই! নির্বাচনি আধিকারিকরা অবশ্য এমন অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। ভারতের মহারাষ্ট্রের এক গ্রামের ভোটাররা অভিযোগ জানালেন ইভিএম কারচুপি নিয়ে। সোমবার সেই গ্রামে লোকসভার উপ নির্বাচন ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে প্রার্থীর নামের পাশের বোতামই টেপা হোক না কেন, ভোট পড়ছিল বিজেপি প্রার্থীর নামেই!

ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপির বিধায়ক শশীকান্ত শিন্ডের দাবি, সাতারা জেলার নভলেওয়াদি গ্রামের এক বুথে গিয়ে তিনি এই রকম ঘটনা নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই এলাকার রিটার্নিং অফিসার কীর্তি নালাওয়াড়ে। শশীকান্ত জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিচার করা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এনসিপি প্রার্থী শ্রীনিবাস পাতিলকে ভোট দিলেও ভোট চলে যাচ্ছিল বিজেপি প্রার্থীর নামে। শশীকান্ত শিন্ডে জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ জানাতে থানায় যান। বুথের নির্বাচনি আধিকারিকরাও তার সঙ্গে যান। দ্রুত ইভিএম বদলে দেওয়া হয়। ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন ছিল। ওই দিনই সাতারা লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল।

শশীকান্ত শিন্ডে জানিয়েছেন, কিছু ভোটার তাদের সন্দেহের কথা জানাতেই এনসিপি পোলিং বুথ এজেন্টরা আধিকারিকদের এই দাবির সত্যাসত্য বিচার করতে বলেন।

শশীকান্ত শিন্ডে এরপর বলেন, ‘‘এরই মধ্যে এক ব্যক্তি ভোট দিতে আসেন। তিনি বোতাম টেপার আগে বিজেপির পদ্মচিহ্নের পাশে লাল আলো জ্বলে উঠতে দেখা যায়। ওই ভোটার এটা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করেন। এরপর নির্বাচনি আধিকারিকরা মৌখিক ভাবে মেনে নেন ইভিএম যন্ত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে।”তারা মক টেস্টের প্রস্তাবও দেন।

এরপর প্রধান আধিকারিকের উপস্থিতিতে এক ভোটার ভোট দিতে যান। তখনই যন্ত্রটিতে সমস্যা দেখা যায় এবং সেটি কাজ করা বন্ধ কর দেয়। এরপর ওই ইভিএমটি বদলে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, ততক্ষণে ২৯৩টি ভোট পড়ে গিয়েছিল। পোলিং এজেন্ট ও ভোটাররা আবারও ভোট করানোর কথা বলেন। কিন্তু আধিকারিকরা এতে রাজি হননি। এরপর ভোটারদের মক টেস্ট দিতে বলা হলে, ভোটাররা জানান, তারা এর জন্য প্রস্তুত নন।

নির্বাচনি আধিকারিক জানিয়েছেন, তারা ইভিএম বদলে দিয়েছেন। তবে তা গ্রামবাসীদের ওই অভিযোগের জন্য নয়। বোতামে সমস্যা থাকাতেই তারা তা বদ‌লে দেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এমজে/