চিঠিতে সন্দেহজনক পাউডার, ট্রাম্পের পুত্রবধু হাসপাতালে

চিঠিতে সন্দেহজনক পাউডার, ট্রাম্পের পুত্রবধু হাসপাতালে

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ডাকে আসা একটি চিঠিতে অজ্ঞাত সাদা পাউডার দেখে বমি পাওয়ার কথা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুত্রবধু ভেনিসা ট্রাম্পকে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বামী ট্রাম্প জুনিয়রের নামে ডাকে আসা চিঠিগুলো খুলে দেখছিলেন ভেনিসা, তার মধ্যে একটিতে ওই পাউডার পাওয়া যায় বলে কর্মকর্তারা জানান, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

অবশ্য পরে ওই পাউডার পরীক্ষা করে বিষাক্ত কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

সোমবারের এ ঘটনায় ট্রাম্পের পুত্রবধুর সঙ্গে থাকা আরো দুই ব্যক্তিকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

“ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের ঠিকানায় লেখা চিঠির সঙ্গে ডাক মারফত ওই পদার্থটি এসেছিল,” বলেন নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র কার্লোস নিয়েভেস।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংসদ সদস্যদের কাছে খামে ভরে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু পাঠানোর ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর পর ২০০১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ ডাকে পাঠানো পাউডারের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে রেখেছে।

দমকল বিভাগের মুখপাত্র সোফিয়া কিম জানান, ভেনেসার অভিযোগ পাওয়ার পর ওই ঘর থেকে তিনজনকে নিউইয়র্কের ওয়েইল কর্নেল মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনজনের মধ্যে ভেনিসার মা-ও আছেন, যদিও তিনি খারাপ লাগার কথা জানান নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র।

ভেনিসা যে চিঠিতে সাদা পাউডার পেয়েছেন, তাতে বোস্টনের পোস্টমার্ক ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অজ্ঞাত এক সূত্রের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজ ও নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। নিউইয়র্কের পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

“সকালে হওয়া ভীতিকর পরিস্থিতির পরও ভেনিসা এবং সন্তানরা যে নিরাপদ ও অক্ষত আছে তাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কেউ কেউ যে তাদের বিরোধিতা প্রকাশের জন্য এ ধরণের বিরক্তিকর আচরণের আশ্রয় নিতে পারেন, তা সত্যিই ন্যাক্কারজনক,” টুইটারে ঘটনার পর লেখা মন্তব্যে বলেন ট্রাম্প জুনিয়র।

২০১৬ সালে ট্রাম্প জুনিয়রের ভাই এরিককে পাঠানো একটি চিঠিতেও সাদা পাউডার মিলেছিল, সেবারের পাউডারেও বিষাক্ত কিছু ছিল না বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস ঘটনাটির তদন্তে যুক্ত হয়েছে বলে এর মুখপাত্র জেফরি এডামস নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প জুনিয়র গুপ্তচর বিভাগের সুরক্ষার কিছুটা অংশ ত্যাগ করেছিলেন বলে তখন প্রশাসনের অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সিএনএনের প্রতিবেদনে ট্রাম্পপুত্রের বিস্তৃত সুরক্ষা পুনর্বহাল করার কথাও জানানো হয়েছিল।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প টাওয়ারে এক রাশিয়ান আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠকের কারণে ট্রাম্প জুনিয়রকে নিয়ে জনসাধারণের বেশ আগ্রহ আছে। ওই বৈঠকে রুশ আইনজীবী ট্রাম্প শিবিরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে ‘ভাবমূর্তি ক্ষতি করার মতো তথ্য’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোর ভাষ্য।

বৈঠকটি ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের অংশ ছিল কিনা, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের তদন্ত চলছে।

রাশিয়া ওই নির্বাচনে কোনো ধরণের হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করে আসছে; ট্রাম্পও তার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ হয়নি বলে দাবি করছেন।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৮০০ঘ.)