আসাম সরকারকে আটককেন্দ্র থেকে অমুসলিমদের মুক্তি দিতে বলেছিল বিজেপি

আসাম সরকারকে আটককেন্দ্র থেকে অমুসলিমদের মুক্তি দিতে বলেছিল বিজেপি

আসামে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য তৈরি আটককেন্দ্র থেকে অমুসলিম বন্দিদের মুক্তি দতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

রায় লোকসভায় বলেন, ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন আসামের আটককেন্দ্র থেকে এমন অমুসলিমদের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে, কেন্দ্র যথাযথ নিয়ম জারি করলে এসব ব্যক্তিরা নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশনে আসামের কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক প্রশ্ন রাখেন, সরকার আটককেন্দ্রগুলো থেকে হিন্দু, শিখ, পারসি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায়ের বন্দিদের মুক্তি দিতে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা। তার উত্তরে নিত্যানন্দ রায় বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশে দেয়া হয়নি। সরকার সিএএ কার্যকর করার পর এ ব্যাপারে ভাববে।

তিনি বলেন, তবে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার গুয়াহাটি হাইকোর্টে এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো আসাম সরকারকে নিরীক্ষা করতে বলেছিল। ২০১৫ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার এধরনের বন্দিদের মুক্তি দেয়ারত ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে পাসপোর্ট আইনের ৩য় ধারার উপধারা (২) এর (সি) অনুচ্ছেদের আওতায় বা বিদেশি আইন, ১৯৪৬ এ আওতায় বন্দিদের করা আবেদনের ভিত্তিতে তাদের মুক্তি দেয়ার নিয়ম রয়েছে। এসব আইনানুসারে, অমুসলিম বন্দিদের মুক্তি দিতেও রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছিল কেন্দ্র। এছাড়া, গত জুলাইয়ে, সুপ্রিম কোর্ট এক প্রজ্ঞাপনে, আটককেন্দ্রগুলোয় তিন বছরের বেশি সময় থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

রায় আরো জানান, আসামের আটককেন্দ্রগুলোর নাম ‘ডিটেনশন সেন্টার’ থেকে পাল্টে ‘হোল্ডিং সেন্টার’ করা হয়েছে বলে জানান ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, তথ্যানুসারে গত তিন বছরে আসামের এসব কেন্দ্র থেকে ৭৬১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।