হাজিদের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো নারী পুলিশ

হাজিদের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো নারী পুলিশ

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বার্ষিক হজ। এর মধ্যেও বিরল এক নজির গড়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। প্রথমবারের মতো হাজিদের নিরাপত্তা নারী পুলিশদের অফিসারদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছর ধরে নারীর ক্ষমতায়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এর মধ্যে গত বছর নারীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে মক্কার হজ নিরাপত্তাবাহিনীতে পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি নারী পুলিশ অফিসারদেরও মোতায়েন করা হলো।

করোনার সংক্রমণ রোধে কঠিন বিধিনিষেধ বজায়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। হজের দ্বিতীয়দিন হাজিরা পবিত্র নগরী মক্কায় পৌঁছায়। হাজিরা নিরাপদ দূরত্ব ও অন্যান্য বিধিনিষেধগুলো মানছে কি-না তাতে সতর্ক দৃষ্টি নিরাত্তাকর্মীদের।

হাজিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীর মধ্যে একজন আফনান আবু হুসেইন, পুলিশ সার্ভিস ট্রেনিং থেকে প্রথম নারী ক্যাডেট ব্যাচের সদস্য। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে অনুমতিতে উচ্ছ্বসিত তিনি।

করোনাভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা রোধে এবার হজযাত্রীদের সংখ্যা ১ হাজারে সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তথা সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার নানা ব্যবস্থার পাশাপাশি তা মানা নিশ্চিত করতে হজযাত্রীদের পাশাপাশি অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম এবং সক্ষম মুসলমানদের জন্য জীবদ্দশায় কমপক্ষে একবার ফরজ। এটি বিশ্বে মুসলিমদের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ। তবে এ বছর ইতোমধ্যে সৌদি আরবে অবস্থানরত মাত্র ১ হাজার মানুষ হজ্জে অংশ নিচ্ছেন। গত বছর বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম এতে অংশগ্রহণ করেছিল।

যারা হজে অংশ নিতে নির্বাচিত হয়েছেন তারা তাপমাত্রা যাচাইয়ের মুখোমুখি হন এবং মক্কায় প্রবেশ করার পর তাদের কোয়ারেন্টিন করা হয়েছিল। হজ কর্তৃপক্ষ এ বছর কাবা ঘিরে রেখেছে। তারা জানিয়েছেন, সংক্রমণের সম্ভাবনা সীমাবদ্ধ করতে হজযাত্রীদের এটি স্পর্শ করতে দেওয়া হবে না।