‘কিছু কিছু লোক আছে, শুধু ঘেউ ঘেউ করে’

‘কিছু কিছু লোক আছে, শুধু ঘেউ ঘেউ করে’

করোনাভাইরাসের সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।

তবে বিরোধীদের এক হাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, কিছু কিছু লোক আছে, যারা শুধু ঘেউ ঘেউ করে ঘুরে বেড়ায়! অর্থ দফতরকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ৩৪ বছরে সিপিএমের আমলে যা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছতা এখন নিয়ে আসা হয়েছে।

সোমবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ বছর সরকার চালাচ্ছি। কেউ বলতে পারবে না আমি এ সব নিয়ে কোনো দিন কাউকে বলেছি, এটা নয় ওটা করুন।

‘আমাদের সরকার যথেষ্ট স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে। একমাত্র সরকার যেখানে দফতরগুলো নিজেদের মতো করে কাজ করে। কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয় না।’

তার বক্তব্য, সাধারণ মানুষ কোনো অভিযোগ করলেও সত্যতা যাচাই করে নেয়া হয়। কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তদন্ত করে দেখে নেয়া হয়। ঠিক সে ভাবেই অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তদন্ত করে দেখে নেয়া হবে। এ নিয়ে এত হইচই করার কোনো কারণ নেই।

করোনার সরঞ্জাম কেনার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, কী এমন হয়েছে? পুরো প্রক্রিয়া মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, স্বাস্থ্যসচিব দেখে নিচ্ছেন।... এ রাজ্যে সরকারি কেনাকাটায় যে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়, তা অন্য কোথাও হয় না। অর্থ দফতরের নিজস্ব অডিট বিভাগ রয়েছে। প্রতিটি পদক্ষেপ দেখার জন্য দফতরে দফতরে অর্থ দফতরের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা সব কিছু দেখে তবেই ছাড়পত্র দেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা সরব হয়েছে বিরোধীরাও। তাদের কটাক্ষ, ভক্ষককেই রক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের বলেন, তিনি নিজেই নিজেকে শংসাপত্র দিচ্ছেন! আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছি না। দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হতে পারে বা পরিষদীয় তদন্ত কমিটি গড়া যেতে পারে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর কিছু লুকোনোর না থাকে, তা হলে তদন্তে আপত্তি কী?

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী একটা কমিটি গড়লেন। আবার এখন নিজেই বলে দিলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। কেনাকাটা দেখভালের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারাই আবার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। ভক্ষককেই রক্ষকের দায়িত্ব দিলে যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে!

এমজে/