বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে সিলেটে শোভাযাত্রা

বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে সিলেটে শোভাযাত্রা

যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক ভিসা কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে এ আহ্বান জানানো হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নাম ইউএসএ ইমিগ্রান্ট ভিসা পেন্ডিং কেস হোল্ডার্স কমিউনিটি ফোরাম, বাংলাদেশ।

মানববন্ধন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়। এতে একাত্ম হন সংগঠনটির সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রতিনিধিরা।

মানববন্ধন চলাকালে জানানো হয়, প্রায় ৯ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রবাসী-অধ্যুষিত সিলেটসহ বাংলাদেশের প্রায় তিন লাখ মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এর মধ্যে শুধু সিলেট থেকে ২০ হাজার ভিসাপ্রার্থী বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ অবস্থায় নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা।

মানববন্ধন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়। এতে একাত্ম হন সংগঠনটির সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রতিনিধিরা।
বিজ্ঞাপন

আয়োজক সংগঠনের সদস্য মো. মিনহাজ উদ্দিন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন তরুণ কুমার ধর, নেহাল হাসনায়েল, ফাতেহা শিরিন, মো. ফাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, মুহিত চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান, আরাফাত চৌধুরী, নাজমুল হক, লিটন ঘোষ, মোমিনুল হক, গৌতম দত্ত ও রায়হান আহমেদ।

বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প গত ২২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইমিগ্রান্ট ভিসার কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর থেকে পারিবারিক ভিসা বন্ধ রয়েছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ২০ হাজার ভিসাপ্রার্থী অনিশ্চয়তায় পড়েন। অনেক ভিসাপ্রার্থী ১৪ থেকে ১৫ বছরের ফি জমা দিয়েও অপেক্ষায় রয়েছেন।

মানববন্ধনের শুরুতে আয়োজক সংগঠনের পরিচিতি তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, সংগঠনটি ২০১৭ সালের ২ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় অপেক্ষমাণদের বিনা মূল্যে নানা ধরনের তথ্য দিয়ে সেবা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮০টি মতবিনিময় ও ১০টি ইমিগ্র্যান্ট সেমিনার করেছে তারা। সংগঠনটির সদস্য ১২ হাজার।