পার্লামেন্টের চারপাশ ঘিরে থাকবে ন্যাশনাল গার্ড

রাস্তায় রাস্তায় সশস্ত্র টহল সেনাদের

রাস্তায় রাস্তায় সশস্ত্র টহল সেনাদের

এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে দায়িত্ব পালনকারী ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা রাস্তায় রাস্তায় সশস্ত্র টহল শুরু করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিনের শেষ দিকে মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করে সেনারা।

বাইডেনের শপথ ও অভিষেকের সময় পার্লামেন্ট ভবন ও চারপাশ ঘিরে থাকবে ন্যাশনাল গার্ড সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্যাপিটল হিলের পুলিশকে সহায়তায় ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের মারণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন।

বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাদের অতিরিক্ত সংখ্যা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওয়াশিংটনে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমস।

এতদিন ক্যাপিটলে দায়িত্ব পালনকারী ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা শুধু লজিস্টিক সাপোর্ট দিত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। কিন্তু ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় সত্যায়নের অধিবেশনে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় পাঁচজনের প্রাণহানির পর পরিস্থিতি বদলে যায়। অন্য এক আমেরিকা দেখে গোটা বিশ্ব।

এ কারণে ২০ জানুয়ারি বাইডেনের অভিষেকের দিন অপ্রত্যাশিত ঝামেলা এড়াতে সেনাদের অস্ত্র বহনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাদের সশস্ত্র টহল চলবে। একইসঙ্গে ওয়াশিংটনে জারি থাকবে জরুরি অবস্থাও। বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই দিন পর্যন্ত জরুরি অবস্থা অনুমোদন করেছেন।

কংগ্রেস ভবনে হামলা ও তাণ্ডবের সময় ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের নিরস্ত্র অবস্থান ও দর্শকের ভূমিকায় থাকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অনেক সমালোচনা তৈরি হয়। তার ওপর ট্রাম্পের বিদায় ও বাইডেনের অভিষেকের দিন রাজধানী ও বিভিন্ন বড় শহরে সশস্ত্র মহড়ার প্রস্তুতির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন অন্ধ ট্রাম্প সমর্থকরা। ফলে আগের মতো ঢিলেমি না করে আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ।

পেন্টাগনে ন্যাশনাল গার্ডের ব্যুরো চিফ জেনারেল ড্যানিয়েল হকানসন বলেন, সশস্ত্র অবস্থান ও আইনপ্রয়োগকারীর ভূমিকায় ন্যাশনাল গার্ডকে নেয়া হয়েছে সর্বশেষ অবলম্বন হিসাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে মনে হলে তারা অ্যাকশনে নেমে যাবে।

ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র আরও জানান, সশস্ত্র বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ সহিংসতা তৈরি করবে- এমন বিশ্বস্ত তথ্য পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ন্যাশনাল গার্ড সেনারা মারণাস্ত্র বহন শুরু করে বলে জানান এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের ক্যাপ্টেন শেলফি জনসন।

তবে কী ধরনের অস্ত্র তারা ব্যবহার শুরু করেছেন, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি। সাধারণত গার্ড সেনাদের এম-৯ হ্যান্ডগান দিয়ে মোতায়েন করা হয় বলে জানান জনসন। এর আগে তারা কেবল প্রটেকটিভ গিয়ার বহন করত।

এখন মারণাস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি তারা সুরক্ষামূলক হেলমেট, গ্যাসমাস্ক ও কেভলার শরীর সুরক্ষা সামগ্রীও ব্যবহার করবেন। জনসন বলেন ‘তবে মারণাস্ত্র ব্যবহারের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বেসামরিক প্রতিরক্ষা পদ্ধতির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন তারা।’

এমজে/