প্রেসিডেন্টের প্রথম ভাষণে কী বলবেন বাইডেন?

প্রেসিডেন্টের প্রথম ভাষণে কী বলবেন বাইডেন?

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন জো বাইডেন। শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাষণ দেবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন সুত্রে জানা গেছে, খুব গুরুত্ব সহকারে চলছে এ ভাষণ প্রস্তুতের কাজ। বাইডেনের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা মাইক ডোনিলন এ বক্তব্য লেখার প্রক্রিয়া তদারকি করছেন। ইতিহাসবিদ ও প্রেসিডেন্টদের আত্মজীবনী লেখক জন মিচামও অভিষেক ভাষণ তৈরিতে সহযোগিতা করছেন।

ফ্রাংকলিন রুজভেল্টের শাসনামলের পর থেকে বাইডেনের প্রেসিডেন্সিকে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে করা হচ্ছে। তার কারণ, বিভক্ত হয়ে পড়া এক জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে তাকে। নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বাইডেন। এর ৭২ দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শপথ অনুষ্ঠান। মাঝখানের এ সময়টুকুতে অনবরত নির্বাচন নিয়ে ভুয়া অভিযোগ তুলে যাচ্ছেন ট্রাম্প। আর তাতে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চ্যালেঞ্জটা ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।

কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ভাষণ দেওয়াটা জো বাইডেনের জন্য নতুন কিছু নয়। এ ডেমোক্র্যাট নেতা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সেখানে বহুবার বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য যেকোনও ভাষণের চেয়ে তার বুধবারের ভাষণটির অনেক বেশি গাম্ভীর্য থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উপদেষ্টারা সিএনএন-কে বলেন, ২০ জানুয়ারিতে বাইডেন কী বক্তব্য দিতে পারেন তা গোপন রাখা হচ্ছে। তার কারণ, বক্তব্যকে একেবারে তাজাভাবে উপস্থাপন করতে চান নতুন প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া, প্রয়োজনবোধে শেষ মিনিট পর্যন্ত এতে পরিবর্তন আনার সুযোগ রাখা হচ্ছে। তবে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের সূত্রে সিএনএন জানিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর বাইডেন যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার আদল থাকবে এবারের ভাষণে। সেখানে একে অপরকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট। সে রাতে বাইডেন বলেছিলেন- ‘কঠোর রেটরিক ভুলে গিয়ে, উত্তেজনা কমিয়ে আবারও একে অপরের দিকে তাকানোর সময় এখনই। একে অপরের কথা শোনার সময় এখনই। অগ্রগতির জন্য আমাদেরকে বিরোধীদের শত্রু হিসেবে দেখার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। তারা আমাদের শত্রু নয়। তারা আমেরিকান।’

বাইডেনের এক উপদেষ্টা সিএনএন-কে বলেন, ‘যা কিছু ঘটেছে, আমাদের দেশ যা কিছু সহ্য করেছে, তা সত্ত্বেও জাতিকে আত্মিকভাবে এক করার বার্তা থেকে কখনও বিচ্যুত হবে না তিনি। এটি তার সব সময়ের মুল লক্ষ্য।’