মিয়ানমারে রাতভর তল্লাশি, দিনে বিক্ষোভ চলছেই

মিয়ানমারে রাতভর তল্লাশি, দিনে বিক্ষোভ চলছেই

রাতভর নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার করছে একের পর এক মানুষ। কিন্তু কিছুতেই বিক্ষোভকারীদের ঘরে ফেরাতে পারছে না মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।

আজ রবিবারও হাজার হাজার মানুষ অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে এবং নেত্রী অং সান সুচির মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হচ্ছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালয়ে। এ ছাড়া বিক্ষোভ হচ্ছে কালে এলাকার ভারতীয় সীমান্তের কাছে, ইয়াঙ্গুনে, দাউয়ি শহরে।

তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। গত ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৫০ জনকে হত্যা করেছে দেশটির সামরিক জান্তা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, আজ রবিবার দিনের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ইয়াঙ্গুনের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। তারা এ সময় গুলি ছুড়েছে। কাউকতারা শহর থেকে কমপক্ষে তিনজনে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্থানীয় অধিবাসীরা তা বলতে পারছেন না।

একজন নারী বলেছেন, এর মধ্যে একজন অভিনেতা এবং তার ছেলে রয়েছেন। ওই নারী বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে আমাদেরকে ঘর থেকে পুরুষদের বাইরে বের করে দিতে বলে। এ সময় আমরা বলেছি, তাহলে আমাদেরকেও সঙ্গে নিয়ে যাও।

বর্তমানে বিলুপ্ত পার্লামেন্টের একজন সদস্য সিথু মুয়াং ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির জন্য কাজ করেন এমন একজন আইনজীবীকে খুঁজতে থাকে সেনারা। অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস নামের পরামর্শক গ্রুপের মতে, শনিবার পর্যন্ত সামরিক জান্তা কমপক্ষে ১৭০০ মানুষকে আটক করেছে। তবে রবিবার রাতে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

ওই গ্রুপটি আরও বলেছে, সেনা সদস্যরা আটক ব্যক্তিদের ঘুষি মেরেছে। বুট পরে লাথি মেরেছে। তাদেরকে প্রহার করেছে এবং টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা প্রবেশ করেছে আবাসিক এলাকায়। আরো বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। অনেক বাড়ি তছনছ করে দিয়েছে।

এমজে/