ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিনটি তিন টুকরো হয়ে সমুদ্রের তলায়, ৫৩ নাবিক নিহত

ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিনটি তিন টুকরো হয়ে সমুদ্রের তলায়, ৫৩ নাবিক নিহত

ইন্দোনেশিয়ায় কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নৌবাহিনীর সাবমেরিনটিকে তিনটি টুকরো হয়ে যাওয়া অবস্থায় সমুদ্রের তলায় পাওয়া গেছে।

ডুবোজাহাজটিতে যে ৫৩ জন ক্রু ছিলেন তাদের সবাই নিশ্চিতভাবে মারা গেছেন।

সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা রোববার বলেছেন, সাবমেরিনটির কাছ থেকে তারা বার্তা পেয়েছেন এবং এটি সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে ডুবে গেছে।

সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ধার নেয়া একটি উদ্ধারকারী যানের সাহায্যে ছবি তুলে তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।

সাবমেরিনটি মহড়া চালানোর সময় বুধবার নিখোঁজ হয়ে যায়।

রোববার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে জাহাজের কিছু ভগ্নাবশেষ ও জায়নামাজের মতো কিছু জিনিস উদ্ধার করার পর তারা নিশ্চিত হন যে জাহাজটি ডুবে গেছে।

স্ক্যান থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সাবমেরিনটি সমুদ্রের সাড়ে ৮০০ মিটার গভীরে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে, সচল অবস্থায় এত গভীরে যাওয়ার সক্ষমতা এই সাবমেরিনের নেই।

কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজটি যখন নিখোঁজ হয়ে যায় তখন তাতে তিন দিনের অক্সিজেন মজুদ ছিল।

ইন্দোনেশিয়ায় নৌবাহিনীর প্রধান ইওদো মারগোনো বলছেন যেখান থেকে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়েছে তার কাছেই এর কিছু অংশ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেছেন, স্ক্যান করে দেখা গেছে ডুবোজাহাজটি সমুদ্রের যতটা গভীরে চলাচল করতে পারে, এটি তারচেয়েও অনেক গভীরে তলিয়ে গেছে এবং একারণেই তারা সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছেন।

বালি দ্বীপের কাছে সমুদ্রে মহড়া চালানোর সময় সাবমেরিনটির সাথে বুধবার সকালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় এটি ডুব দেয়ার জন্য অনুমতি চাইছিল।

জার্মানির তৈরি এই ডুবোজাহাজটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। তবে ২০১২ সালে এতে কিছু কাজ করা হয়।