ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব (ভিডিও)

যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে, অবিলম্বে থামাতে হবে

যুদ্ধ অবশ্যই  থামাতে হবে, অবিলম্বে থামাতে হবে

জাতিসংঘ সংবাদদাতা

অনতিবিলম্বে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একিসঙ্গে এ যুদ্ধ থামানো না গেলে তা শুধু ইসরাইল কিংবা ফিলিস্তিন নয় বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে একটি অনিয়ন্ত্রিত সংকটের দিকে ঠেলে দিবে বলে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরাইলি হামলা এবং সংঘাতের ফলে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের শুরুতে দেয়া ভাষণে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন সংস্থাটির মহাসচিব।

Video: United Nations 

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, "যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে। অবিলম্বে থামাতে হবে।"

তিনি বলেন, "এ সংঘাত চলতে থাকলে তা নিরাপত্তা এবং মানবিকতার জন্য এমন সংকটের পথ খুলে দিবে যা হবে অনিয়ন্ত্রিত। এ সংকটে যে অস্থিরতা তৈরি হবে তা শুধু ইসরাইল কিংবা ফিলিস্তিন নয় বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।"

ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত শুরুর পর থেকে রবিবার সবচাইতে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব তার ভাষণে এ প্রাণহানির প্রতিবাদ করেছেন।

রক্তপাত এবং সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়ে মহাসচিব গুতেরেস বলেন, "কান্ডজ্ঞানহীন রক্তপাত, সন্ত্রাস এবং ধ্বংসের এ চক্র অনতিবিলম্বে থামাতে হবে।"

ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজা সিটিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর কার্যালয় গুড়িয়ে দেবার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "ভয় এবং হয়রানির ঊর্ধ্বে থেকে সাংবাদিকদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।গাজায় গণমাধ্যমসমূহের কার্যালয়গুলো ধ্বংস করে দেয়াটা খুবি উদ্বেগের বিষয়।"

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন দু'পক্ষকেই শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "একদিক থেকে রকেট ও মর্টার দিয়ে হামলা এবং অন্য পক্ষের বিমান ও কামানের বোমা বর্ষণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ আহবানে সাড়া দিতে আমি উভয় পক্ষকে অনুরোধ করছি।"

চরমপন্থি ইহুদিবাদ আন্দোলনের ফলেই ফিলিস্তিনিদের জেরুসালেমে নিজ বসতি থেকে বের করে দেবার দাবি উঠছে। আর এ কারণেই বর্তমান সংঘাতের তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব তার ভাষণে এ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, "ইসরাইলে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া এবং হামলা পরিচালনাকারি কিছু গ্রুপের উত্থান হয়েছে যা ক্রমঅবনতিশীল সংকটময় এক পরিস্থিতিতে আরও নতুন ভীতি তৈরি করেছে।"

চলমান উত্তেজনা প্রশমনে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দের ভূমিকা রাখা উচিত বলে গুতেরেস তার ভাষণে উল্লেখ করেন।

কেবি/