বিশ্বজুড়ে এখনই বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই

বিশ্বজুড়ে এখনই বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিজ্ঞানীরা নতুন এক রিপোর্টে বলেছেন, বিশ্বজুড়ে সাধারণ জনগণের জন্য করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ টিকার প্রয়োজন নেই। বৃটিশ মেডিকেল বিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে তাদের এই রিপোর্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

এতে তারা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অধিক মাত্রায় বিপজ্জনক। তা সত্ত্বেও মহামারির এ পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া যথাযথ হবে না। তারা লিখেছেন, নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল অথবা মহামারি বিষয়ক ডাটা অথবা উভয় ক্ষেত্রের ডাটা সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করে তার ওপর ভিত্তি করে বুস্টার ডোজ দেয়া এবং তা কখন দেয়া হবে তা নির্ধারণ করা উচিত। তারা আরো বলেছেন, বুস্টার ডোজ দেয়ার যথার্থতা নির্ধারণের জন্য আরো তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ প্রধান প্রধান সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রায় কার্যকর টিকা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ও এই গবেষণার শীর্ষ লেখক আনা-মারিয়া হেনাও-রেস্ট্রিপো বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে ভয়াবহ অসুস্থতার বিরুদ্ধে টিকা প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশ্বজুড়ে এখনও যেসব মানুষ টিকা পাননি বা নেননি তাদেরকে টিকা দেয়াকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে তাদেরকে তৃতীয় ডোজ টিকা বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখনও অসংখ্য মানুষ টিকাই পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে উদ্বৃত্ত টিকা গরিব দেশগুলোকে দান করতে। নতুন এই গবেষণার গবেষকরা স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই বুস্টার ডোজ দেয়ার ফলে সেখানকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু বঞ্চিত থেকে যাবেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনকে (এফডিএ) যারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন এমন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসছে। তাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে কিনা।

দ্য ল্যানসেট জার্নালে যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তার লেখকদের মধ্যে আছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন, আনা-মারিয়া হেনাও-রেস্ট্রেপো এবং মাইক রায়ান।