তালেবানের পুনরুত্থানের পর আফগানিস্তানে ১৫৩ গণমাধ্যম বন্ধ

তালেবানের পুনরুত্থানের পর আফগানিস্তানে ১৫৩ গণমাধ্যম বন্ধ

আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন পর ফের তালেবান ক্ষমতায় এসেছে। ১৫ আগস্ট তারা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর পর থেকেই নানা কারণে দেশটিতে প্রায় ১৫৩টি গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

আফগানিস্তানে মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থনকারী একটি সংস্থা এ তথ্য জানায়। খবর টোলো নিউজের।

সোমবার ওই সংস্থাটি জানায়, সাবেক সরকারের পতনের পর থেকে আফগানিস্তানের ২০ প্রদেশে ১৫৩টি গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এ গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে— রেডিও, প্রিন্ট ও টেলিভিশন চ্যানেল। এগুলো বন্ধের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো— আর্থিক ও নানা বিধিনিষেধ।

ওই সংস্থাটির মতে, যদি এ আর্থিক এবং বিধিনিষেধ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা না হয়, তবে আরও গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আফগানিস্তানের ফেডারেশন অব জার্নালিস্টের উপপ্রধান হুজাতুল্লাহ মুজাদাদি বলেন, যদি মিডিয়াকে সমর্থনকারী সংস্থাগুলো গণমাধ্যমগুলোর বিষয়ে মনোযোগ না দেয়, তবে শিগগির আমরা দেশের বাকি গণমাধ্যমগুলো বন্ধের সাক্ষী হব।

আফগানিস্তানের ন্যশনাল জার্নালিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাসরুর লুতফি বলেন, ধারাবাহিকভাবে গণমাধ্যম বন্ধের ঘটনা উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।

পাকতিকা প্রদেশভিত্তিক গণমাধ্যম মিলমা রেডিও। সম্প্রতি যেসব গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে এটিও তার মধ্যে একটি। রেডিওটি কার্যক্রম শুরু করে ২০১১ সালে। তারা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি ও খেলার সংবাদ প্রচার করত।

রেডিওটির এডিটর-ইন-চিফ ইয়াকুব খান মনজুর বলেন, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ না থাকা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে আমরা কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।

মনজুরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মিলমা রেডিওতে ৩৫ কর্মী ছিলেন। ১৩ প্রদেশে এটি প্রচার হতো। এখন এসব কর্মী কর্মহীন।
ওই রেডিওর সাবেক রিপোর্টার জামালুদ্দিন এলহাম বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে, আর্থিক সমস্যার কারণে রেডিওর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

মুহাম্মদ ইকরাম শাহাব নামের অপর এক রিপোর্টার বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রেডিওটি কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আর আমরা চাকরি হারিয়েছি।

এদিকে আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তালেবান বলছে, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা যেন তাদের কার্যক্রম যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করবে তারা।

এমজে/